• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
আধুনিক প্রযুক্তির মেট্রোরেল যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না যে ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে, দেশবাসীকেই বিচার করতে হবে মেট্রো স্টেশন যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না: প্রধানমন্ত্রী নাশকতার ঘটনায় অপরাধীদের ছাড় না দেয়ার দাবি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের ধারণা ছিল একটা আঘাত আসবে: প্রধানমন্ত্রী তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ২১ জুলাই স্পেন যাবেন প্রধানমন্ত্রী আমার বিশ্বাস শিক্ষার্থীরা আদালতে ন্যায়বিচারই পাবে: প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রাণহানি ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতে হবে : প্রধানমন্ত্রী পবিত্র আশুরা মুসলিম উম্মার জন্য তাৎপর্যময় ও শোকের দিন

মঠবাড়িয়ায় ৩ কোটি টাকা ব্যয় নির্মিত হয়েছে ডাস্টবিন ও স্ট্রিট লাইট

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর সভায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত হয়েছে ডাস্টবিন ও সোলার স্ট্রিট লাইট। নগরবাসি বাসা-বাড়ির ময়লা-বর্জনা ফেলার জন্য ডাস্টবিন ব্যবহার করায় শহরে যত্রতত্র নোংরা হচ্ছে না। অপর দিকে সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপণ হবার করনে রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলেও গুরুত্বপূর্ণ স্থান থাকে আলো ঝল-মল। এতে পথচারীদের চলাচলে সুবিধা হবার পাশাপাশি অপরাধের সংখ্যা শূণ্যেও কোঠায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ জলবায়ূ পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়  প্রকল্পের আওতায়  ২ কোটি ৯৯ লক্ষ ৪৯ হাজার  টাকা ব্যয়ে পৌর শহরের ৯ টি ওয়াার্ডের গুরুপ্তপূর্ণ স্থানে ১৫৫ টি সোলার স্ট্রিট লাইট ও ২৬১টি স্টিইনলেস স্টিল ওয়েন্টবিন (ডাস্টবিন) বসানো হয়েছে। এ সকল কাজ বাস্তবায়ন করেছে পৌরসভা। স্ট্রিট লাইটের জন্য খরচ দেখানো হয় ১ কোটি ৭৫ লক্ষ ১৮ হাজার ৪১০ টাকা এবং ডাস্টবিনের জন্য খরচ হয় ৯৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ৯৯৯ টাকা।

তবে পৌর শহরের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, ডাস্টবিন থাকতেও ময়লাগুলো খালে ফেলা হচ্ছে। পৌর কর্তৃপক্ষ যথা সময়ে ময়লা অপসারণ না করায় অধিকাংশ ডাস্টবিন গুলোই ময়লার ভাগার হয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিত ভাবে স্থাপন করেছেন। বর্জ্য অপসারণে যেন কারো কোনো দায় নেই।

পৌর শহরের কলেজ পড়ার বাসিন্দা শিক্ষক রোকনুজ্জামান বলেন, ডাস্টবিনগুলো অপরিকল্পিত ভাবে স্থাপন করা হয়েছে । বর্জ অপসারণ না করায় এসব ডাস্টবিনই এখন জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। ডাস্টবিন নগরবাসীর কোনো কাজেই আসছে না। এগুলো রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়।

পৌর শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবু কালাম আজাদ ক্ষোভের সঙ্গে বলেন,  ময়লা-আবর্জনা আমার বাসার সামনে খোলা মাঠে ফেলা হয়। যে কারণে এই এলাকায় বসবাসরত পরিবারগুলো, স্কুলগামী ছেলেমেয়ে ও এ পথে চলাচলকারীদের চরম অসুবিধা হয়। একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার এমন হাল দুর্ভাগ্যজনক।

পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ বলেন, পৌর বাসিন্দাদের অভিযোগ সব সত্য নয়। ডাস্টবিন পরিস্কার করার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে আমি পরিচ্ছন্ন বা মেরামতের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।