• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

মঠবাড়িয়ায় ইমরান গাজী হত্যা মামলায় ৬ আসামি কারাগারে

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২৪  

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর ইমরান গাজী হত্যা মামলার রহস্য উদঘঁন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর বিজ্ঞ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করে। এরপর তারা উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৪ জন এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি ১ জন এবং ৭ই মার্চ পিরোজপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বিজ্ঞ আদালতের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুম বিল্লাহ তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।

বর্তমানে কারাগারে থাকা আসামিরা হলো-সবুজ নগর এলাকার ফাতিমা বেগম, মেহেদী হাসান, হারন অর রশীদ, পশ্চিম টিকিকাটা এলাকার ফেরদৌস মৃধা মুহিত মৃধা ও হালিম গাজী ।

অভিযুক্ত আসামি ইলিয়াস খলিফা উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিনে থাকলেও সবুজ নগর এলাকার রফি ফকিরের পুত্র রাজু ফকির পলাতক রয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর মোঃ আহসান কবির জানান, পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার (অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক) এবং পিবিআই পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলামের দিক নির্দেশনায় ইমরান গাজী হত্যা মামলায় আশার আলো দেখতে পেয়েছি।

১০ জন মানিত সাক্ষী এবং ১৫ জন নিরপেক্ষ সাক্ষীদের প্রমান সাক্ষ্য নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন পূর্বের সুরতহাল ও ময়না তদন্তের প্রতিবেদনের সাথে সাক্ষীদের জবানবন্দি ও পারিপার্শ্বিক বিষয় সমূহের মিল না থাকায় বিজ্ঞ আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে মৃত ইমরান গাজীর (২৫) লাশ পুনরায় ময়না তদন্ত ও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। ১০ জন মানিত সাক্ষী এবং ১৫ জন নিরপেক্ষ সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমান নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করি। পূর্বের সুরতহালে ইমরান গাজী ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু পিবিআই তদন্তে ইমরান গাজীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়।

মামলার বাদী আব্দুলাহ গাজী জানান গত ১১ অক্টোবর ২০২১ ইমরান গাজী হত্যাকান্ডের ঘটনা নিয়ে পুলিশ বিতর্কিত ভুমিকা পালন করে। তারা সঠিক তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়। থানায় মামলা না নিয়ে এ ঘটনায় তারা একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে বলে জানা যায়। আদালতে মামলা না করলে আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হতাম। হত্যাকান্ডের পর ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করেন ওই সময়ের মঠবাড়িয়া থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) আসলাম।