• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

পিরোজপুর সংবাদ

মঠবাড়িয়ার ১৫ শহীদের স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২ এপ্রিল ২০২৩  

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ভীমনলী গ্রামে ১৯৭১ সালের ২২ মে সংঘটিত  প্রথম সম্মূখ  প্রতিরোধ যুদ্ধে ১৫ শহীদের  গণসমাধিস্থলে নির্মাণাধিন স্তৃতিস্তম্ভের  নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ, মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দান আর নিরাশ্রয় বাঙালীদের আশ্রয়দানের অপরাধে রাজাকারদের হামলা প্রতিহত করতে সেদিন মুক্তিকামী বাঙালী সম্মূখ লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিলেন।

জানা গেছে, মঠবাড়িয়া সদর হতে ১৮ কিলোমিটার দুরের গ্রাম ভীমনলীর শহীদের গণসমাধিস্থলে ১০ শতক জমির ওপর গড়ে তোলা হচ্ছে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা বিরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস স্মৃতিস্তম্ভের জন্য এ জমি দান করেন। এখানে গত তিন বছর আগে গণপূর্ত বিভাগের আওতায় শহীদ স্মৃতি স্তম্ভটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রথম দফায় ৬২ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর আরো ৮ লাখ টাকা পুন বরাদ্ধে মোট ৭০ লাখ টাকা ব্যায়ে গণপূর্ত বিভাগ এ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়। মেসার্স রাজ এ- ব্রাদার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্মৃতিস্তম্ভটির নির্মাণ কাজ করছেন।

প্রকল্পের সাইট ঠিকাদার মো. ইউনুস ফকির জানান, ১০ শতক জমিতে নির্মাণাধিন প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হতে আরো সময় লাগবে। তবে স্মৃতি স্তম্ভে যাতায়াতের রাস্ত নির্মাণে আরো তিন শতক জমি প্রয়োজন। যা সরকারের অধিগ্রহণ ছাড়া সম্ভব হচ্ছেনা। এর সঙ্গে স্থাপনার আশপাশ জুড়ে ওয়েটিং শেড, সুপেয় পানি, সোলার প্যানেল ও ওয়াশরুম নির্মাণ জরুরী। এসব বাস্তবায়নে আরো ১৪/১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন।

এ স্মৃতির মিনারের সম্মূখ জমির মালিক দিলীপ কুমার বিশ্বাস বলেন, সড়ক ও অন্যান্য স্থাপনার জন্য আমি জমি দিতে ইচ্ছুক। জমির মূল্য পেলে জমি দিতে প্রস্তুত।

মঠবাড়িয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. বাচ্চু আকন বলেন, মুক্তিযুদ্ধে উপকুলীয় মঠবাড়িয়ায় স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে নলী গ্রামের বাড়ই বাড়ির সম্মূখ যুদ্ধ অন্যতম। শহীদের গণ সমাধিতে গড়ে উঠছে দৃষ্টি নন্দন স্মৃতির মিনার।

এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মী ভৌমিক বলেন, ভীমনলী  গ্রামে ১৫ শহীদের সমাধি স্থলে স্তৃতিস্তম্ভের কাঠামোর কাজ প্রায় সম্পন্ন । তবে ওখানের রাস্তাসহ কিছু নির্মাণ কাজ এখনও অসম্পূর্ণ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত বিভাগ। আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করে আরও দ্রুত নির্মাণ কাজ সম্পন্নের উদ্যোগ নেব।