‘নির্বাচন এলে কিছু দেশ আমাদের বিরুদ্ধে লাফালাফি শুরু করে’

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষের কাছে নীলফামারী-২ (সদর) আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।

মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা পঙ্কজ ঘোষ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা নেন। আশা করি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু ও সুন্দর থাকবে। শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ঠিক রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য। জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। দেশ স্বাধীনের সাড়ে তিন বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নৃশংসহভাবে সপরিবারে তাকে হত্যা করা হয়। বাবার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।
 
তিনি বলেন, দেশে নির্বাচন এলে কিছু কিছু দেশ আমাদের বিরুদ্ধে লাফালাফি শুরু করে। তারা কি আমাদের দেশের নাগরিক নাকি ভোটার। নেতাকর্মীদের দূতাবাসে ডেকে নিয়ে রাজনীতি করে। কেন তারা শুধু শুধু নাক গলায় আমি কিছুই বুঝি না।

জামায়াত-বিএনপির উদ্দেশ্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, গত ২৮ অক্টোবর আন্দোলনের নামে তাদের আসল চেহারা উন্মোচিত হয়েছে। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যকে হত্যা করাসহ হাসপাতালে আগুন দিলো, প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা চালালো- এইতো তাদের আন্দোলন।

তিনি আরও বলেন, আমার প্রতি গভীর বিশ্বাস রেখে আমাকে পাঁচবার মনোনয়ন দিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এটি আমার জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল অর্থাৎ ২৩ বছর ধরে আপনারা আমার সঙ্গে আছেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে আছেন। দেশে কৃষি বিপ্লব হয়েছে, শিক্ষার আমূল পরিবর্তন হয়েছে।

উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আজ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে নীলফামারী। শেখ হাসিনার সরকার রাস্তাঘাট, পুল কালভার্টসহ এখানে যুব উন্নয়ন কেন্দ্র, নার্সিং ইনস্টিটিউট, আড়াইশ বেডের হাসপাতাল ও সর্বশেষ মেডিকেল কলেজ ও সৈয়দপুর থেকে নীলফামারী ফোরলেন রাস্তা দিয়েছেন। এ ছাড়াও উত্তরাঞ্চলের মানুষের জন্য উত্তরা ইপিজেড দিয়েছে। সেখানে ৪২ হাজার নারী-পুরুষ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। আর চাওয়ার মতো আমার কিছুই নেই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুসফিকুল ইসলাম রিন্টু প্রমুখ।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা পঙ্কজ ঘোষ বলেন, নির্বাচনী নীতিমালা অনুসরণ করে আগামীতে প্রার্থীদের কাজ করে যেতে হবে। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে কেউ অভিযুক্ত হলে সেটি কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এ ব্যাপারে আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা প্রার্থীদের সচেতন করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় প্রচারণা চালাতে পারবেন। এটি ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।