• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

পিরোজপুর সংবাদ

দুই সিজদার মাঝের দোয়া

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২৩  

সিজদা নামাজের একটি রুকন। নামাজ আদায়ে অবশ্যই সিজদা করতে হয়। নামাজের আরও রুকনের মধ্যে রয়েছে দাঁড়ানো, কিরাত পড়া, রুকু করা, সিজদা করা, শেষ বৈঠক করা।
রুকু, সিজদায় গিয়ে নির্ধারিত দোয়া রয়েছে। দুই সিজদার মাঝেও দোয়া রয়েছে। দুই সিজদার মাঝে যখন বসবে তখন, ‘রাবিবগ ফিরলি’ শুধু এটা পড়বে না হয় পড়বে اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَعَافِنِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي উচ্চারণ: রব্বিগ ফিরলি ওয়ার হামনি ওয়া আফিনি ওয়াহদিনি ওয়ার জুকনি’।
 
 এ দোয়াগুলো পড়া সুন্নাত। অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমার ওপর রহম করুন, আমাকে হেদায়েত দান করুন, আমাকে নিরাপত্তা দান করুন এবং আমাকে রিজিক দান করুন। (তিরমিজি, হা/২৮৪, আবু দাউদ, হা/৮৫০, নাসাঈ, হা/৮৯৮)
 
হাদিসের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ সুনানে নাসায়িতে দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকে ‘রাবিবগফিরলি’ দোয়াটি পড়ার কথা এসেছে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকে তা পড়তেন। (সুনানে নাসায়ি ১/২৯)
 
আবার কখনও রসুল সা. এ দোয়াটিও পড়তেন: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَعَافِنِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي (সুনানে আবু দাউদ ৮৫০)

ফজিলতপূর্ণ এ দোয়াগুলো ইমাম-মুকতাদি সবার জন্য নফল-ফরজ সব নামাজেই পড়া উত্তম। আর নফল ও তাহাজ্জুদে উপরোক্ত দোয়া ছাড়াও আরও কিছু দোয়া পড়ার কথা হাদিস শরিফে এসেছে। যেমন: রুকু থেকে উঠে নিম্নোক্ত দোয়াগুলো পড়ার কথা হাদিসে এসেছে।

মুসলিমে এসেছে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকু থেকে দাঁড়িয়ে পড়তেন, রুকু থেকে ওঠার সময় ইমাম যখন سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَه বলবে তখন মুক্তাদির জন্য رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলা উত্তম। এরপর সম্ভব হলে حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيْهِ দোয়াটিও পড়া উত্তম। কেননা, হাদিস শরিফে এসেছে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ইমাম যখন سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَه বলবে তোমরা তখন رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বল।
রুকু থেকে উঠে যে দোয়া পড়তে হবে

 

اللهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ، مِلْءُ السَّمَاوَاتِ والْأَرْضِ، وَمَا بَيْنَهُمَا، وَمِلْءُ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ
 
অন্য বর্ণনায় এ দোয়াটি পড়ার কথাও এসেছে:
 
اللهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ مِلْءُ السَّمَاءِ، وَمِلْءُ الْأَرْضِ، وَمِلْءُ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ اللهُمَّ طَهِّرْنِي بِالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ، وَالْمَاءِ الْبَارِدِ اللهُمَّ طَهِّرْنِي مِنَ الذُّنُوبِ وَالْخَطَايَا، كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْوَسَخِ (মুসলিম ৪৭৬)
 
আবু সাঈদ খুদরি রা.-এর বর্ণনায় মুসলিমে এ দোয়াটি এসেছে:
 
رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْءُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ، وَمِلْءُ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ، أَهْلَ الثَّنَاءِ وَالْمَجْدِ، أَحَقُّ مَا قَالَ الْعَبْدُ، وَكُلُّنَا لَكَ عَبْدٌ: اللهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ (মুসলিম ৪৭৭)
 
ফকিহগণের ভাষ্যমতে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসব দীর্ঘ দীর্ঘ দোয়া সাধারণত তাহাজ্জুদ ও নফল নামাজে পড়তেন। তাই এ দোয়াগুলো বিশেষভাবে নফল নামাজে পড়া উত্তম।