• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

বরিশালে ডায়রিয়া পরিস্থিতির অবনতি

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০২৪  

তাপমাত্রার পারদ বৃদ্ধির সাথে বরিশালে ডায়রিয়া পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত আছে। গত এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রার পারদ ৭-৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস ওপরে উঠে যাবার মধ্যেই বরিশালে আরো প্রায় ৪ হাজার ডায়রিয়া রোগী শুধু সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত একমাসে হাসপাতালে আগত রোগীর সংখ্যাটা ১০ হাজারের বেশী। ইতোমধ্যে বরিশালে তাপমাত্রা স্বভাবিকের প্রায় ৭ ডিগ্রী ওপরে ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। দুঃসহ এ গরমের মধ্যে ডায়রিয়া প্রতিনিয়ত ভীতি ছড়াচ্ছে।

বরিশাল জেনারেল হাসপাতাল সহ অন্যান্য সরকারি চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর মেঝেতেও এখন ডায়রিয়া রোগীর ঠাঁই হচ্ছেনা। জেনারেল  হাসপাতালের ১০ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে এখন গাদাগাদি করে ৫০ জনেরও বেশী পুরুষ-মহিলা ডায়রিয়া রোগী বিছানায় ও মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা প্রায় ৩০ ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় অফিসের মতে গত ১ জানুয়ারী থেকে বরিশালে ডায়রিয়া সহ নানা ধরনের পেটের পীড়া নিয়ে ২৭ হাজারেরও বেশী নারী-পুরুষ ও শিশু সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত কয়েক বছর ধরেই বরিশালে মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্যন্ত ডায়রিয়া ভীতি ছড়ালেও এখন সরকারি হাসপাতালগুলোতে বছরব্যাপী এ ধরনের রোগীদের আগমন অব্যাহত থাকছে। এমনকি ২০২১ সালে করোনা মহামারীর সর্বোচ্চ সংক্রমনের মধ্যেও প্রায় ৮০ হাজার ডায়রিয়া রোগী সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য আসেন।

এ অঞ্চলের শুধু সরকারি হাসপাতালগুলোতেই প্রতিদিন সাড়ে ৫শ থেকে সাড়ে ৭শ রোগী ডায়রিয়া সহ নানা ধরনের পেটের পীড়া নিয়ে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হচ্ছেন। গত বছর বরিশাল অঞ্চলের সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রায় ৭২ হাজার ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। যে সংখ্যাটা আগের বছর ছিল ৭৭ হাজারেরও বেশী। গত জানুয়ারী মাসে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার, ফেব্রুয়ারীতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার এবং মার্চে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার ডায়রিয়া রোগী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পরে চলতি মাসের শুরু থেকে বরিশাল অঞ্চলে ব্যাপকহারে ডায়রিয়া সহ নানা ধরনের পেটের পীড়া ছড়িয়ে পড়েছে ।

ডায়রিয়ার সাথে নানা ধরনের পেটের পীড়ার রোগীর সংখ্যাও ভীতিকরভাবে বাড়ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। বরিশাল মহানগরী সহ এ অঞ্চলজুড়ে পথ খাবারের দোকানের খাবার ডায়রিয়ার সাথে নানামুখি পেটের পীড়াকে অনেকটা মহামারিতে পরিনত করছে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, সরকারি হাসপাতালের বাইরে আরো অন্তত ৩গুন রোগী ডায়রিয়া সহ নানা ধরনের পেটের পীড়া নিয়ে বেসরকারী ক্লিনিক ও হাসপাতাল ছাড়াও চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বরিশাল অঞ্চলে ১ হাজার সিসি’র প্রায় ১৫ হাজার ও ৫শ সিসি’র প্রায় ১২ হাজার স্যালাইন মজুদের কথা জানিয়ে আরো ৭ হাজার ব্যাগ সরবরাহের কথা বলছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল। তার মতে, স্যালাইনের কোন সংকট নেই এবং হবেও না।