• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

এনআইডি সার্ভারের সুরক্ষায় ‘ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড’

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডারের (সার্ভার) সুরক্ষায় ‘ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড’ (ওটিপি) পদ্ধতি চালু করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী রোববার থেকে ওটিপি ছাড়া ইসির কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী ভোটার তথ্যভান্ডারে ঢুকতে পারবেন না। ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক সাইদুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানান।

চট্টগ্রামের খসড়া ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা ভোটার শনাক্ত হওয়ার পর দেশব্যাপী সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ইসি এই পদ্ধতি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, রোববার থেকে ডেটা এন্ট্রি অপারেট, প্রুফ রিডার বা উপজেলা/থানার কোনো কর্মকর্তা সার্ভারে ঢুকতে চাইলে তাঁকে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে হবে। ফিঙ্গার প্রিন্ট অনুমোদিত হলে তাঁকে পাসওয়ার্ড দিতে হবে। পাসওয়ার্ড অনুমোদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তার ই-মেইল অথবা মোবাইল ফোনে ওটিপি যাবে। সেই ওটিপি তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মী বা কর্মকর্তা দিলে তবেই ওই ব্যক্তি সার্ভারে ঢুকতে পারবেন।

আগে শুধুমাত্র পাসওয়ার্ড দিয়ে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর বা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সার্ভারে ঢুকতেন। অভিযোগ আছে, অপারেটরদের অনেকে অন্য অপারেটরের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে জালিয়াতির কাজ করেছেন। এমনকি কর্মকর্তাদের অনেকে নিজের পাসওয়ার্ড অফিস সহকারী ও ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের দিয়ে রাখতেন। ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা ভোটার শনাক্ত হওয়ার পর এ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে মাঠকর্মীদের পুরোনো পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নতুন পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।একই সঙ্গে ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহারের নিয়ম চালু করা হয়।

এ বিষয়ে সাইদুল ইসলাম জানান, আশা করা যায় ওটিপি ব্যবহার করা হলে জালিয়াতি অনেকাংশেই রোধ হবে।কারণ এখন থেকে কোনো অপারেটর বা কর্মচারী সার্ভারে ঢুকতে চাইলে সেটা সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তা জানতে পারবেন। তা ছাড়া জালিয়াতি ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট মাঠকর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

ইসি সচিবালয়ের তথ্য অনুযায়ী গতকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামের খসড়া ভোটার তালিকায় ৬১ জন রোহিঙ্গা চিহ্নিত হয়েছে। যাচাই করতে গিয়ে দেখা গেছে, এদের ভোটার তথ্য ফরমের একটি পাতা স্ক্যান করে সার্ভারে আপলোড করা হয়েছে। অন্য পাতাটি আপলোড করা হয়নি। ইসির কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, চূড়ান্ত খসড়া তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে নেওয়া রোহিঙ্গাদের সার্ভারে ঢোকানো হলে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।