• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

আসছে সমবায়ভিত্তিক চাষাবাদ-ফসল বাজারজাতকরণ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২ মার্চ ২০২০  

সমবায়ভিত্তিতে জমি চাষাবাদ ও ফসল বাজারজাতকরণের নিয়ম রেখে ‘জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি-২০২০’ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘এ নীতির মূল লক্ষ্য হচ্ছে সব শ্রেণির কৃষক ও উদ্যোক্তাদের চাহিদাভিত্তিক প্রযুক্তি ও তথ্য সেবা প্রদানের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঘাত সহনশীল, পরিবেশবান্ধব, নিরাপদ, টেকসই ও পুষ্টিসমৃদ্ধ লাভজনক ফসল উৎপাদন নিশ্চিত করা।’

নীতিতে মোট ৬টি অধ্যায় রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘অধ্যায়গুলোর মধ্যে রয়েছে- পটভূমি, ফসল খাতের মূল প্রতিবন্ধকতা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, কৃষি সম্প্রসারণের ধারণা ও বৈশিষ্ট্য, কৌশলগত সম্প্রসারণ পরিকল্পনা এবং উপসংহার।’ কৃষি সম্প্রসারণ সেবার বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য এবং পরিকল্পনাগুলো নীতিমালায় বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে কার্যকর সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে এ নীতিটি বাস্তবায়ন করা গেলে কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী সম্প্রসারণ সেবা প্রদানের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন ও উপাদনকে আরও ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি।’

‘মন্ত্রিসভা দুটি বিষয় রিভাইস করতে বলেছে, নীতিমালার প্রি-ফেইসের (ভূমিকা) মধ্যে আমাদের কৃষিনীতির একটা ব্যাকগ্রাউন্ড যুক্ত করতে বলা হয়েছে। কারণ আমাদের প্রথম কৃষি নীতি হয়েছিল ১৯৯৬ সালে।’

তিনি বলেন, ‘একটা বিষয় আলোচনা হয়েছে, সেটি নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেটা হল, সমবায়ভিত্তিক চাষ পদ্ধতি। কম্প্রিহেনসিভ চাষ পদ্ধতিতে যাওয়া যায় কি না। যেমন ধরুন- অনেক ইকুইপমেন্ট আছে, যেগুলোর দাম ২০/২২ লাখ টাকা। কয়েকজন কৃষক তিনমাসের জন্য একটা কিনলে তাদের জন্য লাভজনক হয় না।’

‘সেজন্য সমবায়ভিত্তিতে সবাই মিলে যদি এটা কেনা যায়, তাহলে সবাই সেটা ব্যবহার করতে পারবে। ওইভাবে বাজারজাতকরণটাও যদি সমবায়ভিত্তিতে হয়, বিশেষ করে চাষের বিষয়টি আজকে বিশেষভাবে আলোচনা হয়েছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘১০০ একর জায়গা নেয়া হল, এর মধ্যে সবার জমি থাকল। সবাই যদি একই টাইপের ফসলে যায়, তাহলে কম্বাইন্ড পদ্ধতিতে চাষ করে, একসঙ্গেই ফসল কাটা হবে, একসঙ্গে তুলে নেয়া হবে। সেক্ষেত্রে মার্কেটিংয়ে সুবিধা হবে।’

তিনি বলেন, ‘যারা কেনে তাদের এক জায়গায় নিয়ে আসলে তারা একসঙ্গে নিয়ে যেতে পারবে। তখন জমির পরিমাণ অনুযায়ী ব্যয় ও লাভ বিশ্লেষণ করে প্রত্যেক কৃষককে (টাকা) দিয়ে দেয়া যাবে।’

সমবায়ভিত্তিক চাষ নিয়ে বৈঠকে অনেকক্ষণ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেক্ষেত্রে আমাদের প্রোডাকটিভিটি (উৎপাদনশীলতা) বৃদ্ধি পাবে। এ বিষয়ে একটি পাইলট প্রজেক্টের বিষয়ে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, এটায় দুইগুণ, আড়াইগুণ পর্যন্ত বেশি লাভ হয়।’

ছোট একটা জায়গায় হঠাৎ করে ভিন্ন একটি ফসল বাজারজাতকরণে খুব অসুবিধা হয় জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘একসঙ্গে বড় একটি জায়গায় সমবায়ভিত্তিতে চাষ থেকে শুরু করে বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। নীতিমালায় এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’