• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

চট্টগ্রামের ট্রাফিক ব্যবস্থা অত্যাধুনিক করার পরিকল্পনা

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০২০  

 

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ট্রাফিক ব্যবস্থাকে অত্যাধুনিক করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। হাতে নিয়ন্ত্রিত ট্রাফিক ব্যবস্থার পরিবর্তে যানজট নিরসন ও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ডিজিটাল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট বা ডিটিএম পদ্ধতি প্রবর্তন করা হবে। বুয়েট ও চুয়েটের গবেষকদের নানা জরিপ ও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে একটি নকশাও তৈরি করেছেন বিশেষজ্ঞ দল।

যানজট প্রবণ জংশনে যাওয়ার দেড়শো মিটার আগেই সাইনিং পোস্ট ও সিগন্যাল বাতি নির্দেশ দিবে কোন লেনে যেতে হবে যানবাহন। জংশনে গেলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলাদা হয়ে যাবে ধীরগতির রিক্সা ও দ্রুত গতির যানবাহন। থাকবে যাত্রী পারাপারে অত্যাধুনিক জেব্রা ক্রসিং, পার্কিং স্পট এবং ড্রপিং জোন। চট্টগ্রাম নগরীর যানজট নিরসনে অত্যাধুনিক ডিজিটাল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতি চালুর পরিকল্পনা করছেন একদল বিশেষজ্ঞ। এতে যানজট নিরসন হবে অন্তত ৭০ শতাংশ এমন দাবি তাদের।

মাস গ্রুপ রিসার্চ টিমের নগর পরিকল্পনাবিদ ও সমন্বয়কারী স্থপতি শাহিনুল ইসলাম খান বলেন, এই লেনকে চ্যানেলাইজ করতে পারলে আমরা ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ যানজট কমিয়ে ফেলতে পারব বলে আশা করি।

জংশন বা মোড়গুলোতে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থার অভাবে মূলত যানজটের সৃষ্টি হয়। তাই দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষা, সরেজমিনে জরিপ চালিয়ে চুয়েট, বুয়েট ও সিডিএ-এর সমন্বয়ে করা মাস গ্রুপের ৯ সদস্যের গবেষক দল নগরীর ৪০ টি জংশন চিহ্নিত করেছেন। প্রথমে কাজ শুরু হবে নগরীর নিউ মার্কেট জংশনে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে খুব দ্রুত।

মাস গ্রুপ রিসার্চ টিমের গবেষণার সদস্য প্রকৌশলী মো. শামিম বলেন, আমরা প্রোপোজাল সাবমিট করেছি, সেটা অনুমোদন পেয়েছে। এখন আমাদের কিছু চুক্তি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জলাবদ্ধতার পর নগরীর বড় সমস্যা যানজট। তাই এ পদ্ধতিতে সুফল মিললে সহায়তার কথা বলছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও ট্রাফিক পুলিশ।

চট্টগ্রামের সিটি মেয়র আ. জ. নাছির উদ্দীন বলেন, পুলিশের ট্রাফিক ডিপার্টমেন্টকে পরামর্শটা গ্রহণ করতে হবে। বাস্তবায়ন আমরা করতে পারব। সিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এম মোস্তাক আহমেদ বলেন, আমরা ৪ হাজার ৮৪২ টির প্রস্তাবনা দিয়েছি। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন। নগরীতে এখন যানবাহন চলে প্রতি ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার গতিতে। জংশনকেন্দ্রিক প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাড়বে গতি, কমবে যানজট, এমনটাই আশা গবেষকদের।