• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ যত ষড়যন্ত্র হোক, আ.লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না: ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ

পাগলা মসজিদে পাওয়া স্বর্ণালঙ্কার কোটি টাকায় বিক্রি

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২০  

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে পাওয়া দানের স্বর্ণ ও রৌপ্যলঙ্কার নিলামে ১ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বুধবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ভবনে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। নিলামে দানবাক্সে দেশি-বিদেশি মুদ্রার সঙ্গে পাওয়া ৪২০ ভরি স্বর্ণ ও ১৮৮ ভরি রৌপ্য বিক্রি হয়।

এ সময় পাগলা মসজিদের দানের সিন্দুকে পাওয়া অলঙ্কারগুলোকে ৫ ক্যাটাগরিতে ভাগ করে নিলাম ডাক হয়। এ নিলামে বিগত ৩ বছরে দানে পাওয়া অলঙ্কার বিক্রি করা হলো।

এসব অলঙ্কারের মধ্যে ২১ ভরি ওজনের ২১ ও ২২ ক্যারট মানের বিদেশি স্বর্ণ প্রতি ভরি ৩৯ হাজার চারশো টাকা, ৩১ ভরি দেশি স্বর্ণ প্রতি ভরি ৩৬ হাজার ৩০০ টাকা, দেশি স্বর্ণের তৈরি ১৩১ ভরি ওজনের চাঁদ ও তারকা প্রতি ভরি ৪০ হাজার ৫০০ এবং ২৩৭ ভরি ১০ আনা ওজনের নাকফুল প্রতিভরি ১৭ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়।

 

একই সঙ্গে ১৮৮ ভরি রূপার অলঙ্কার বিক্রি হয় প্রতি ভরি ৪০০ টাকা দরে। নিলামে অংশগ্রহণকারী ৮ জন ক্রেতা সর্বোচ্চ মূল্য হাঁকিয়ে এসব অলঙ্কার কিনে নেন।

পাগলা মসজিদের বিক্রয় উপ-কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান, সদস্য সচিব নেজারত, ডিপুটি কালেক্টর মীর মো. আল কামাহ তমাল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাদির মিয়াসহ পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে নিলাম ডাক অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্রয় উপ-কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, নিলামে অংশগ্রহণকারী ক্রেতাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে নগদ জামানত রাখা হয়েছে। নিলামে সর্বোচ্চ দর প্রস্তাবকারীদের আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সব টাকা পরিশোধ করে নিজ নিজ অলঙ্কার বুঝে নিতে হবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, প্রতি তিন মাস পর পর ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স (ছয়টি লোহার সিন্দুক) খোলা হয়। প্রতিবারই এসব সিন্দুক মেলে নগদ এক থেকে দেড় কোটিরও ওপরে দেশি ও বিদেশি মুদ্রা। পাওয়া যায় স্বর্ণ ও রৌপ্যলঙ্কার। দেশি-বিদেশি মুদ্রা ব্যাংকে এবং অলঙ্কার সরকারি ট্রেজারিতে রাখা হয়।

এই বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদ্রাসা-এতিমখানার উন্নয়ন, কর্মকর্তা-কমচারীদের বেতন নির্বাহের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা-এতিমখানা এমনকি অসহায় বাবা মা-হীন শিশুর শিক্ষা, চিকিৎসা, বিবাহ কল্যাণে ব্যয় হয়ে থাকে।