• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

কবর থেকে উদ্ধার হওয়া সেই নবজাতকের জীবন যুদ্ধ!

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০১৯  

ভারতের উত্তরপ্রদেশের একটি গ্রাম থেকে মাটির পাত্রে রাখা এক নবজাতককে জীবিত উদ্ধার করা হয়। শিশুটি শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।  

শিশু বিশেষজ্ঞ রবি খান্না জানিয়েছেন, শিশুটির শরীরে প্লাটিলেটের সংখ্যা মারাত্মক কমে যাওয়ায় তার অবস্থা এখনও গুরুতর। আগামী পাঁচ থেকে সাতদিন পর তার অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে জানাতে পারবেন।

শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সৌরভ অঞ্জন জানান, শিশুটি সম্ভবত ৩০ সপ্তাহে জন্মগ্রহণ করেছিল। তার ওজন ছিল মাত্র ১ দশমিক কেজি, যা কিনা জন্মের সময়ে শিশুর আদর্শ ওজনের হিসেবে খুব কম।

ডাঃ খান্না জানান, শিশুটিকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে রাখা হচ্ছে এবং একটি টিউবের মাধ্যমে তরল খাওয়ানো হচ্ছে। তার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। তার প্লাটিলেটের সংখ্যা ১০ হাজারে এ নেমে গেছে। অথচ স্বাভাবিক মাত্রায় এর পরিমাণ হয় দেড় লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ। এ কারণে আমরা তাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন আছি। 

ডাঃ খান্না বলেন, শিশুটিকে তিন থেকে চার দিন আগে কবর দেয়া হয়ে থাকতে পারে। বাচ্চারা তাদের পেটে, উরু এবং গালে ফ্যাট নিয়ে জন্মায় এবং কিছুটা জরুরি অবস্থায় তারা এটার উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকতে পারে। ওই শিশুটি এতদিন তার শরীরে থাকা ব্রাউন ফ্যাটের কারণে বেঁচে আছে।  

ডাঃ অঞ্জন বিশ্বাস করেন, শিশুটিকে উদ্ধারের কেবল দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। তার ভাষায়, যদি তাকে উদ্ধার করা না হতো তবে সম্ভবত আরো এক বা দুই ঘণ্টার জন্য সে বেঁচে থাকতে পারতো।

তিনি বলেন, যে পাত্রটির ভেতরে শিশুটিকে রাখা হয়েছিল সেখানে একটি বাতাসের পকেট ছিল যা তাকে অক্সিজেন সরবরাহ করেছে। কিছু অক্সিজেন হয়তো আলগা হয়ে যাওয়া মাটির ভেতর দিয়ে ফিল্টার হয়ে ভেতরে প্রবেশ করেছে। যেহেতু পাত্রটি ঘন মাটির তৈরি ছিল না, তাই এটিও বাতাস চলাচলে সহায়তা করতে পারে।

বৃহস্পতিবার বেরেলি জেলায় মৃত শিশুর জন্য কবর খুঁড়তে গিয়ে মাটির পাত্রে ওই নবজাতকের সন্ধান পান গ্রামবাসী। এ ঘটনায় হৈ চৈ পড়ে যায়। 

ভারতে এখনও অনেক স্থানে তীব্র লিঙ্গ বৈষম্য বিদ্যমান। দারিদ্রতার কারণে অনেক পরিবার এখনও মেয়ে সন্তানকে পরিবারের বোঝা মনে করে। এ কারণে নিষিদ্ধ থাকলেও অনেক স্থানে এখনও অবৈধভাবে কন্যা ভ্রুণ মেরে ফেলা হয়। এমনকী জন্মের পরও বিভিন্ন স্থানে কন্যা শিশু হত্যার ঘটনা ঘটে।