• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ যত ষড়যন্ত্র হোক, আ.লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না: ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ

মঠবাড়িয়ায় স্ত্রী ও কন্যাকে হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০১৯  

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়  স্ত্রী নাজমা আক্তার (৩০) ও রাবেয়া আক্তার মিষ্টি নামের  ৬ মাসের শিশু কন্যাকে কুপিয়ে হত্যার  দায়ে স্বামী সিরাজুল হক আকন (৫০) নামের এক ব্যাক্তিকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকালে  অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারিক হাকিম মো. শামসুল হক এ ফাঁসির রায় প্রদান করেন। এ সময় আদালত তাকে আরো ৫০ হাজার টাকার জরিমানার আদেশ প্রদান করেন। ফাঁসির দন্ডাদেশ প্রাপ্ত সিরাজুল হক উপজেলার উত্তর মিরুখালী গ্রামের মৃত জবেদ আলী আকনের পুত্র। এ রায় প্রদানের সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামী সিরাজুল হক আকন আদালতে  অনুপস্থিত ছিলেন।
কুপিয়ে হত্যা করা স্ত্রী নাজমা আক্তার উপজেলার বাদুরা গ্রামের আ: রব ফরাজীর মেয়ে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামী সিরাজুল ইসলাম তার স্ত্রী নাজমা বেগমের নামে রাখা ৩ কাঠা জমি বিদেশ যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিক্রি করতে চায়। আর এ জন্য তার ভগ্নিপতি উপজেলার উত্তর মিরুখালী গ্রামের  মো. আফজাল হোসেনের বাড়িতে যায়। সেখানে বসে ওই জমি বিক্রির ঘটনা নিয়ে  স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এ  ঘটনায় গত ২০০৩ সালের ৯  নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্ত্রী  নাজমা বেগম তার কোলে থাকা ৬ মাসের শিশু কন্যাকে নিয়ে ওই বাড়ি থেকে পিতার বাড়ি উপজেলার বাদুরা গ্রামে চলে আসতে শুরু করলে ভগ্নিপতির বাড়ির  ৫শত গজ দূরে আসে। এসময় স্থানীয় কাদের মিলিটির  বাড়ির সামনে পৌঁছলে পিছন থেকে স্বামী সিরাজুল ইসলাম স্ত্রী নাজমা ও তার কোলে থাকা ৬ মাসের শিশু কন্যা রাবেয়া আক্তার মিষ্টিকে বেদমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে সেখানে ফেলে রেখে যায়। পরের দিন রাস্তার পাশ থেকে তাদের  লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।    
এ ঘটনায় নিহতের  পিতা আ: রব ফরাজী বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানী শেষে আসামীর অনুপাস্থিতিতে বিচারক  এ রায় প্রদান করেন।