• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

১৮ ডিসেম্বর মঠবাড়িয়া মুক্ত দিবস

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩  

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলেও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া তখনও ছিল স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের দখলে। আজ (১৮) ডিসেম্বর সোমবার মঠবাড়িয়া অঞ্চল শত্রু মুক্ত হয়।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর দিনগত ভোর রাতে সুন্দরবন অঞ্চলের সাব সেক্টরের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে চার শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা সুন্দরবন অঞ্চল হতে মঠবাড়িয়ায় রওনা দেন। সংগঠিত মুক্তিযোদ্ধারা মঠবাড়িয়ায় স্বাধীনতা বিরোধীদের পরাস্ত করতে মঠবাড়িয়া শহর হতে পাঁচ কিলোমিটার দূরে কালিরহাট বাজারে অবস্থান নেন।

অপর দিকে সুন্দরবনের শরণখোলা থেকে ওই রাতে আরও ১২০ জনের সশস্ত্র একটি মুক্তিযোদ্ধার দল কালিরহাট বাজারে অবস্থান নেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যোগ দেন। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি বৃদ্ধি পায়। মুক্তিযোদ্ধাদের ওই সশস্ত্র অবস্থান টের পেয়ে স্থানীয় স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। ওই রাতেই স্বাধীনতা বিরোধীরা রাজাকার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সমঝোতার চেষ্টা চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে স্বাধীনতা বিরোধীদের আত্মসমর্পণের প্রস্তাব পাঠান। ভীত সন্ত্রস্ত স্বাধীনতা বিরোধীরা  বিনা রক্তপাতে আত্মসমর্পণ করলে মঠবাড়িয়া অঞ্চল শত্রু মুক্ত হয়।

এর পর ১৮ ডিসেম্বর‘৭১  সকালে  কালিরহাটে অবস্থান নেয়া মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় উল্লাস করতে করতে মঠবাড়িয়া শহরে প্রবেশ করেন। মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ের শ্লোগানে বীরদর্পে মঠবাড়িয়া শহরে এসে মুখরিত করে তোলেন। এভাবে কোন রক্তপাত ছাড়াই ১৮ ডিসেম্বর মঠবাড়িয়া শক্রু মুক্ত হয়। পরে ২০ ডিসেম্বর বিকেলে শহরের শহীদ মোস্তফা খেলার মাঠে মুক্তিযোদ্ধদের এক সংবর্ধনা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মঠবাড়িয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার মোঃ বাচ্চু আকন বলেন, ১৮ডিসেম্বর সোমবার মঠবাড়িয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া ঐতিহাসিক কালিরহাট বাজার সংলগ্ন কালভার্টের কাছে স্বাধীনতা ৫২ বছর পর নির্মাণাধীন স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হবে।

উল্লেখ্য- ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মঠবাড়িয়ায় উপজেলায় মোট ৫১ জন স্বাধীনতাকামী বাঙালী তাঁদের  প্রাণ বিসর্জন দেন।