• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ যত ষড়যন্ত্র হোক, আ.লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না: ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ

কর্মসূচি দিয়ে ঘরে থাকেন বিএনপি নেতারা, তৃণমূলে ক্ষোভ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০২১  

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন শুরু করে বিএনপি। ভাড়াটে সন্ত্রাসী দ্বারা কিছুদিন জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন হলেও ঘরে বসেছিলেন দলটির নেতারা। পরবর্তী সময়েও দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে ঘরে বসে থাকতেন তারা। এতে তৃণমূল বিএনপিতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

দলীয় সূত্র অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির পর কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেয় বিএনপি। ভাড়াটে সন্ত্রাসী দ্বারা জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন একপর্যায়ে ব্যর্থ হয়। আর ঈদের পর আন্দোলনের হাঁকডাক অনেক আগেই বিলীন হয়ে গেছে। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে অর্থদণ্ডসহ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এ রায়ে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। একই বছরের ৩০ অক্টোবর তিন আসামির আপিল ও দুদকের একটি রিভিশন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্টে সেই দণ্ড ১০ বছর করে রায় দেন। ওই সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা আন্দোলন ডাক দেন। তৃণমূল কর্মীরা মাঠে নামলেও নেতারা নিজেদের পরিবার নিয়ে নিরাপদে বাসায় অবস্থান করছিলেন। শুধুমাত্র প্রথম মিছিলে মুখ দেখিয়ে তারা নিরাপদে চলে যেতেন।

বিষয়টি টের পেয়ে যান তৃণমূলের কর্মীরা। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ভেতরে দানা বাঁধা ক্ষোভের কারণে আর আন্দোলন জমাতে পারেনি বিএনপি।

দলীয় সূত্র জানায়, বছরজুড়ে বিএনপির সিনিয়র থেকে মাঝারি ও তৃণমূল নেতারা দোয়া-মোনাজাত, কালো পতাকা মিছিল, মানববন্ধন, সমাবেশ, ঘরোয়া আলোচনা সভা আর ছোটখাটো বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছে। বড় আন্দোলনের হুমকি দিলেও কার্যত কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারেনি বিএনপি। এমনকি ঢাকার বাইরের বিভাগীয় শহরগুলোতেও বড় সমাবেশ করতে ব্যর্থ হয়েছে দলটি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্য বলেন, কে দেবে বিএনপির কর্মসূচি? বিএনপির নেতাকর্মীদের কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকার সাহস নেই। এ পর্যন্ত আমরা কোনো আন্দোলন বেগবান করতে পারিনি। এমনকি আন্দোলনের ডাক দিলেও বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে নামে না। এখন কেন্দ্রীয় নেতাদের বিভক্তি আন্দোলন ডাকাকে আরো কঠিন করে ফেলেছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা ঘরে বসে শুধু সংবাদ সম্মেলন আর সরকারের সমালোচনা করতেই ব্যস্ত। আমরা শুধু নামে আছি, রাজনীতির মাঠে নেই। আর এ থেকে সৃষ্ট ক্ষোভ তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করেছে। বর্তমানে বিএনপির মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর হিংসাত্মক রাজনীতি প্রকাশ্যে চলছে।

বিএনপির অপর এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর থেকে শুরু করে সিনিয়র নেতারা কঠিন কর্মসূচি ডাকার কথা বলেন। তবে বছরের পর বছর পার হলেও কর্মসূচি শুধু বক্তব্যেই রয়ে যায়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, অদক্ষ নেতৃত্ব আর সিদ্ধান্তহীনতার কারণেই বিএনপির হাইকমান্ড কর্মসূচি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সেই ব্যর্থতা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ক্ষেপিয়ে তুলেছে। এজন্য এসব নেতারা ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন।