• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

পরকীয়া প্রেমিকের আশায় স্বামী-সন্তান সব হারালেন গৃহবধূ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৪  

পাঁচ বছর আগে নাজের বেপারীর সঙ্গে বিয়ে হয় ওই নারীর। বিভিন্ন সময়ে স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে রাসেল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবৈধ সম্পর্ক করে আসছিলেন। সম্প্রতি রাসেলকে ওই নারীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ধরে ফেলে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বামী নাজের বেপারী সন্তানকে নিজের কাছে রেখে ওই নারীকে তালাক দেন। এরপর রাসেল জামিনে বের হন। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক রাসেলের বাড়িতে অনশন করেন ওই নারী।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে  গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পুটিমারী গ্রামে প্রেমিকের বাড়ির সামনে অনশন করতে দেখা যায় ওই নারীকে। রাসেলের সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের পুটিমারী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।

জানা যায়, কচুয়া ইউনিয়নের এক ব্যক্তির সঙ্গে পাঁচ বছর আগে সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়নের ওই নারীর বিয়ে হয়। বিভিন্ন সময়ে স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে রাসেল ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবৈধ সম্পর্ক করে আসছিলেন। সম্প্রতি রাসেলকে ওই নারীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ধরে ফেলে পুলিশে সোপর্দ করেন। পুলিশ রাসেলকে সাঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বামী নাজের বেপারী সন্তানকে নিজের কাছে রেখে ওই নারীকে তালাক দেন। পরবর্তী সময়ে রাসেল জামিনে বের হয়ে বাড়িতে ফিরে এলে ওই নারীর লোকজন তাকে বিয়ে করার চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু রাসেল বিয়ে না করতে তালবাহানা করতে থাকেন।

অবশেষে বিয়ের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল থেকে রাসেলের বাড়ির উঠানে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন ওই নারী। অবস্থা বেগতিক দেখে রাসেল সরকার ও তার পরিবার বাড়িঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ধর্ষণ করে আসছিলেন রাসেল। তার কারণে আমার ঘর ভেঙেছে। সে কারণে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেছি।

মুক্তিনগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শ্রী পরিমল চন্দ্র বর্মন বলেন, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি রাসেল ও তার পরিবারের কেউই নেই। তাই নিরাপত্তার কথা ভেবে রাতে ওই নারীকে রাসেলের চাচার বাসায় রেখে এসেছি। বিষয়টি সমাধানে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।