• শনিবার ১১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৮ ১৪৩১

  • || ০২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

আবহাওয়া অনুকূলে, হাওরের কৃষকের মুখে হাসি

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০২৪  

হাওর-বাঁওড়ের জেলা সুনামগঞ্জ। এ অঞ্চলের একটিমাত্র বোরো ফসল ঘরে তুলতে পারলে বছরটা নিশ্চিন্তে চলে যায় কৃষক পরিবারের। তবে অন্যান্য বছরের মতো এবারও হাওরের ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন কৃষকরা। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জের বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার ১৩৭টি হাওরে বোরো ধানের আবাদ করেন ১০ লাখ কৃষক। সেই ধান বৈশাখের প্রথম দিন থেকে আংশিকভাবে কাটতে শুরু করেন কৃষকরা। পরে গত ১৯ এপ্রিল সুনামগঞ্জের হাওর দেখতে এসে কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে ধান কাটা উৎসব যোগ দেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ। এরপর থেকে শুরু হয় সুনামগঞ্জে পুরোদমে ধান কাটা।

সরেজমিন বিভিন্ন হাওরে দেখা যায়, হাওরগুলোতে চলছে বিরামহীনভাবে ধান কাটার কর্মযজ্ঞ। কেউ হাওর থেকে ধান গাড়িতে করে নিয়ে আসছেন। কেউ মাড়াই করছেন আবার কেউবা সেই ধান প্রখর রোদে শুকাচ্ছেন।

তবে অন্য বছরগুলোতে দেখা গেছে, এসময়ে সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত হয়। চলতি বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় নিশ্চিন্ত মনে স্বপ্নের সোনালি ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেন কৃষকরা।

কৃষক আব্দুল আওয়াল বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। সরকার ধানের দাম বাড়িয়েছে। আশা করি এবছর আমরা একটু লাভ করতে পারবো।

করচার হাওরের কৃষক মজনু মিয়া বলেন, ‘চলতি বছর হাওরে যে পরিমাণ ধান হয়েছে সেই ধান খাওয়ার জন্য রেখে প্রায় ৫০ মণ বিক্রি করতে পারবো। সত্যি খুব আনন্দ লাগছে।’

কিষাণী তাজবালা বেগম বলেন, এবছর ফলন ভালো হয়েছে। পাঁচ কেয়ার জমিতে প্রায় ৭৫ মণ ধান পাবো বলে আশা করছি। শুকানোর পর মেপে বোঝা যাবে কতটুকু ধান হলো। এ বছরের ফলনে আমি খুশি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় এবার বোরো চাষাবাদ হয়েছে দুই লাখ ২৩ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১৩ লাখ ৭০ হাজার ২০২ মেট্রিক টন। যা থেকে ৯ লাখ ১৩ হাজার ৪৬৮ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হবে। যার বাজারমূল্য চার হাজার ১১০ কোটি টাকা।

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল কুমার সোম বলেন, আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় এবছর ধান উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা পূরণ হবে। এরইমধ্যে জেলার ৬০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে।