সরকারীকরণ হচ্ছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ৪ মে ২০২৪
জাহানারা ইমাম বাঙালির স্বাধিকার ও আদর্শ প্রতিষ্ঠার লড়াই-সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি কোনো রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তবুও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ দেশের নানা ক্রান্তিলগ্নে তাঁর উপস্থিতি ছিল অগ্রভাগে। একাত্তরের ঘাতক দালালবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী, শিক্ষাবিদ, কথাসাহিত্যিকসহ তাঁর নানা পরিচয় থাকলেও ‘শহীদ জননী জাহানারা ইমাম’ নামেই তিনি সমধিক পরিচিত।
আজ তাঁর ৯৫তম জন্মদিন। ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন তিনি মারা যান। মৃত্যুর ৩০ বছর পর সরকারিভাবে শহীদ জননীর স্মৃতি সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ জন্য ২০০৭ সালের জুনে ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে জাহানারা ইমামের বাড়িতে পারিবারিক উদ্যোগে গড়ে তোলা ‘শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর’ আত্তীকরণ করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার জাতীয় জাদুঘরে বিশেষ অনুষ্ঠান হবে। এতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীসহ বিশিষ্টজন উপস্থিত থাকবেন।
জানা যায়, আত্তীকরণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর’-এর সমুদয় তত্ত্বাবধান গ্রহণ করবে জাতীয় জাদুঘর। ইতোমধ্যে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরের স্থাবর সম্পত্তির (ফ্ল্যাট ও অন্যান্য স্মৃতিচিহ্ন) দলিল জাতীয় জাদুঘরকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। দলিল হস্তান্তর করবেন জাহানারা ইমামের সন্তান প্রবাসী সাইফ ইমাম জামী।
এ ব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক সমকালকে বলেন, ‘শহীদ জননী জাহানারা ইমামের কর্মময় জীবন তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তাঁর স্মৃতি সংরক্ষণ করা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। সরকার সেই উদ্যোগই বাস্তবায়ন করছে।’
জাহানারা ইমাম ছিলেন ঊনসত্তরের গণআন্দোলনের সক্রিয় কর্মী। মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে তাঁর সন্তান রুমী আর ফেরেননি; স্বামীও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে শহীদ হন। এর পরও তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিয়েছেন, পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। একটুও দমে যাননি।
১৯৭৫ সালে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ হয়ে যায়। এর পর জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ১৯৯২ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি বেগবান হয়ে ওঠে। তরুণ সমাজকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি আদায়ে তিনি ঐক্যবদ্ধ করেন। তখন প্রতীকী গণআদালতে বিচারের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করা হয়। যার ধারাবাহিকতায় দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দ্বার উন্মুক্ত হয় ২০১০ সালে। শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে ২০১৩ সালে তরুণ প্রজন্ম ঢাকার শাহবাগে সমবেত হয়। তখনও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি আদায়ের আন্দোলনে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন জাহানারা ইমাম। তাঁর ছবিসদৃশ বিলবোর্ড ও প্ল্যাকার্ড স্থান পেয়েছিল শাহবাগ চত্বরে।
রাজধানীর পুরোনো এলিফ্যান্ট রোডে ইস্টার্ন মল্লিকা থেকে একটু সামনেই গড়ে উঠেছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ‘কণিকা’ নামের বাড়িটির নামকরণ জাহানারা ইমামেরই করা। ২০০৩ সালে মূল বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়। তারপর সেখানে গড়ে ওঠে বহুতল ভবন। ২০০৭ সালে ওই ভবনের দোতলায় জাদুঘরটি গড়ে তোলা হয়েছে। জাহানারা ইমামের ছোট সন্তান সাইফ ইমাম জামী এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তিনি শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে জাদুঘরটি সাজিয়েছেন।
বর্তমানে জাদুঘরের তত্ত্বাবধানে আছেন ফরিদা ইয়াছমিন। তিনি বলেন, জাদুঘরে জাহানারা ইমাম-সংশ্লিষ্ট পাঁচ হাজারের বেশি বই-পুস্তক রয়েছে। স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে দুই হাজারের বেশি।
জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘শহীদ জননী জাহানারা ইমামের স্মৃতিবিজড়িত জাদুঘরটি জাতীয় জাদুঘরের তত্ত্বাবধানে আত্তীকরণ করা হচ্ছে। ফলে জাতীয় জাদুঘরই এর সব দায়ভার গ্রহণের পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণ করবে।’
- ইসরায়েলকে সতর্ক করে ১৩ দেশের চিঠি
- ভ্রমণ ভিসায় বেনাপোল দিয়ে ৩ দিন ভারতে প্রবেশ বন্ধ
- ‘ভারত-চীন-রাশিয়া-বেলারুশ রাজশাহীর আম নিতে আগ্রহী’
- দুই বিভাগে ৮০ কিলোমিটার বেগে বজ্রবৃষ্টির আভাস
- আমিরাতফেরত যাত্রীর কাছে মিলল সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ
- ৪ বিভাগে আরও দুই দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
- ১১ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য
- সৌদি আরবে বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
- কেএনএফ নারী শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক সহ দুইজন গ্রেফতার
- যত ষড়যন্ত্র হোক, আ.লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না: ওবায়দুল কাদের
- গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হামাস
- ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন
- বাস্তবতা বিবেচনা করে পরিকল্পনা প্রণয়নে অর্থনীতিবিদের প্রতি আহ্বান
- ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে
- হজের আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি
- শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
- শেখ হাসিনাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
- গরমে বাড়তে পারে কিডনির সমস্যা, কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- ঘুম না আসার ৫ কারণ
- বোম্বাই মরিচের আচার খাবেন? দেখুন রেসিপি
- ২০ হাজার কোটি টাকা বাড়ছে এডিপির আকার
- ২৩ জুনের পর আওয়ামী লীগের শুদ্ধি অভিযান
- বাংলাদেশ-ভারত আর্মি টু আর্মি সংলাপ শুরু
- উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে বিএনপি থেকে বহিষ্কার হলেন যারা
- ঢাকা ছাড়লেন ডোনাল্ড লু
- গ্যাস ও বিদ্যুতের দামের প্রভাবে বাড়ছে দ্রব্যমূল্য: ভোক্তার ডিজি
- উত্তর গাজায় ব্যাপক প্রতিরোধ হামাসের
- ‘সানভীস বাই তনি’র কাছে পোশাক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানও সিলগালা
- হারানো জিনিস খুঁজে দেবে গুগলের ‘মোক্ষম অস্ত্র’
- শূন্যপদে এতিম-প্রতিবন্ধীদের কোটা পূরণের সুপারিশ
- মঠবাড়িয়ায় সূর্যমুখি চাষে কৃষকদের ব্যপক সাফল্য
- মঠবাড়িয়ায় বিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ॥ গ্রেপ্তার ধর্ষকসহ-২
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- ম্যাঙ্গো রাইস
- আইস ফেশিয়াল করার নিয়ম
- জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সব ম্যাচ জেতা উচিত: সুজন
- গরমে মাথার তালু অতিরিক্ত ঘামছে? চুলের ক্ষতি এড়াবেন যেভাবে
- লোক দেখানো কাজ শিরকের সমান
- পুরোনো স্মার্টফোন ৬ কাজে লাগাতে পারেন
- আম মুরগির ঝোল
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৫০ গ্রাম গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
- দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর মাছ শিকারে প্রস্তুত জেলেরা
- বাংলাদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ ফি কমাতে ভুটানের প্রতি অনুরোধ
- গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
- পৃথিবীতে শক্তিশালী সৌরঝড়ের আঘাত, বিদ্যুৎ-যোগাযোগে বিপর্যয়ের শঙ্কা
- এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা
- হাঁপানির কারণে দাঁত-মাড়ির ক্ষয় হচ্ছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- দেশের মধ্যে ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে