• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৪টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে ফিতা কেটে রাজহংসের উদ্বোধন করেন তিনি। এর মাধ্যমে বিমানের বহরে সংযুক্ত হলো ড্রিমলাইনারটি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বিমান পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান বিমান বাহিনীর সাবেক এয়ার মার্শাল ইনামুল বারী, সচিব মহিবুল হক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সদ্য নিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোকাব্বির হোসেন।

রাডারের কারিগরি ত্রুটি সারানোর পর ড্রিমলাইনার রাজহংস ঢাকায় এসে পৌঁছায় গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর)। ওই দিন সকালে উদ্বোধনের কথা থাকলে রাজহংস দেরিতে আসার কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। পরে আজ উদ্বোধনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ১৩ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টায় বিমানের চতুর্থ ড্রিমলাইনার রাজহংস ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা ৪৪ মিনিটে দেশে এসে পৌঁছায়।

এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর উড়োজাহাজের মালিকানা হস্তান্তর করেন বোয়িং পরিচালক (ডেলিভারি কন্টাক্ট) জন বর্বার। বিমানের পক্ষে পরিচালক (প্রকিওরমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিক সাপোর্ট) মো. মমিনুল ইসলাম চাবি বুঝে নেন। ওই সময় বিমানের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) মোহাম্মদ ইনামুল বারী, পরিচালক (প্রশাসন) জিয়াউদ্দিন আহমেদসহ বিমান ও বোয়িংয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন উড়োজাহাজ কেনার চুক্তি করে বিমান। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও সবশেষ ‘রাজহংস’ আসায় চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ বিমানবহরে যোগ হলো। এর মধ্য দিয়ে সম্পাদিত চুক্তির ১০টি উড়োজাহাজের সবই বুঝে পেল বিমান।

বিমানের ১০টি বোয়িংয়ের মধ্যে আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস নামে চারটি ড্রিমলাইনারের নাম পছন্দ ও বাছাই করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে পালকি, অরুণ আলো, আকাশ প্রদীপ, রাঙা প্রভাত নামে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর এবং মেঘদূত ও ময়ূরপঙ্খী নামে দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ নামও দেন প্রধানমন্ত্রী।

একটানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে পারে ড্রিমলাইনার। এটি চালাতে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ জ্বালানি কম লাগে। অন্য তিনটি ড্রিমলাইনারের মতো রাজহংসের আসন সংখ্যা ২৭১টি। বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড সুবিধা এবং সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে ভ্রমণ করতে পারবেন। বিমানটিতে যাত্রীরা অন্যান্য আধুনিক সুবিধা, ইন্টারনেট ও ফোনকল করার সুবিধাও পাবেন।