• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

বিষমুক্ত সবজি দেবে ‘কৃষকের বাজার’

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০১৯  

 


রাজধানীতে নিরাপদ শাক-সবজি নিশ্চিত করতে চালু হল ‘কৃষকের বাজার’। মানিক মিয়া এভিনিউতে প্রতি শুক্র ও শনিবার সকাল ৭টায় বসবে এই বাজার। কৃষকরা সরাসরি জমি থেকে সবজি এনে এ বাজারে বিক্রি করবেন। ভোক্তার কাছে নিরাপদ কৃষি পণ্য পৌঁছে দিতেই কৃষি মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগটি গ্রহণ করেছে।

রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউর সেচ ভবন প্রাঙ্গণে গতকাল শুক্রবার ‘কৃষকের বাজার’ উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সাভার, ধামরাই, মানিকগঞ্জ মুন্সীগঞ্জসহ ঢাকার আশপাশের কয়েকটি অঞ্চল থেকে কৃষকরা সরাসরি তাদের ক্ষেতের সবজি নিয়ে এই বাজারে এসেছেন। কৃষকের এ বাজারে প্রথম দিনই লাউ, কাঁচা কলা, মিষ্টি কুমড়া, ফুলকপি, পাতাকপি, পটল, মুলা শাক, পেঁয়াজ পাতা, গোল বেগুন, ধনে পাতাসহ নানা পদের শাক-সবজির বিপুল সমারোহ ঘটে। 

এই বাজার নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। প্রথম দিন ‘কৃষক বাজারে’ প্রতিটি লাউ বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকা, গোল বেগুন ৬০ টাকা কেজি, পটোল ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, পালং শাকের আঁটি ৩০ টাকা, মুলা শাক আঁটি ১৫-২০ টাকা। এছাড়া প্রতি পিস ফুলকপি ৩০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

উদ্বোধনকালে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কোনো মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই কৃষক তার উৎপাদিত ফসল ভোক্তার কাছে যাতে বিক্রি করতে পারেন তার জন্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া। আমরা এক বছর ধরে অংশগ্রহণকারী কৃষকদেরকে প্রস্তুত করেছি। এই কৃষকরা কীটনাশকমুক্ত সবজি উৎপাদন করে এই বাজারে নিয়ে আসবেন। ছোট্ট হলেও একটা মডেল হিসেবে উপস্থাপন করছি ‘কৃষক বাজার’কে। এতে ভোক্তারা যেমন কীটনাশকমুক্ত সবজি পাবেন, তেমনি কৃষকরাও পাবেন ন্যায্যমূল্য। এর পরিসর আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে।

এই বাজারে আসা কৃষকরা বলেছেন, এ সবজিগুলো অন্য সবজির চেয়ে আলাদা ও নিরাপদ। কষ্ট করে এসব সবজি চাষ করলেও স্থানীয় বাজারে সেভাবে দাম পাওয়া যায় না। এ বাজারের আশায় ছিলাম। আশা করছি ন্যায্যমূল্য পাব, কারণ এখানে মধ্যস্বত্বভোগী নেই।

কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, কৃষি বিপণন অধিদফতর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) মিলে এ বাজারটি চালু করেছে। বাজারে আসা পণ্যসামগ্রী সত্যিকার অর্থেই কীটনাশক মুক্ত কিনা তা পরীক্ষা করে দেখবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ)। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ভ্রাম্যমাণ ল্যাব নিয়ে এসে নিয়মিত সবজিগুলো পরীক্ষা করে বিক্রির অনুমতি দিবে।