• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
যত ষড়যন্ত্র হোক, আ.লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না: ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

লেবুর খোসায় রোগমুক্তি

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০১৮  

লেবু ছাড়া কী একদিনও চলে! খাবার পাতে এক টুকরো লেবু না থাকল অনেকের খাওয়া সম্পূর্ণ হয় না। তবে জানেন কি লেবুর রস খাওয়ার চেয়ে এর খোসাটা স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারি! বেশ কিছু গবেষণা অনুসারে, লেবুর রসে থাকা ভিটামিনের চেয়ে ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি রয়েছে এর খোসায়।সেইসঙ্গে মজুত রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ফলেট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম। চলুন জেনে নেয়া যাক লেবুর অজানা কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-

১. বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে, লেবুতে উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার এবং ভিটামিন সি শরীরে প্রবেশ করার পর দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে ছোট-বড় কোনো রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে সংক্রমণের মতো রোগও দূরে থাকতে বাধ্য হয়।

২. নিয়মিত লেবুর খোসা খেলে শরীরে সিট্রিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। যার প্রভাবে কিডনিতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে। এমন ধরনের রোগের খপ্পরে পরতে না চাইলে নিয়মিত লেবুর খোসা খেতে ভুলবেন না যেন!

৩. লেবুর খোসায় থাকা ডায়াটারি ফাইবার কনস্টিপেশনের মতো রোগের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে আলসার এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যাও কমে যায়।

৪. লেবুর খোসায় উপস্থিত স্য়ালভেসস্ট্রল কিউ ৪০ এবং লিমোনেন্স নামে দু’টি উপাদান ক্যান্সার সেল ধ্বংসে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এখানেই শেষ নয়, লেবুর খোসা খাওয়া মাত্র ব্যাকটেরিয়াল এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশেনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

৫. ভিটামিন সি-এর অভাবে মুখ গহ্বর সংক্রান্ত রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষজ্ঞরা লেবুর খোসা খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ এতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক অ্যাসিড মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, জিঞ্জিভাইটিস সহ একাধিক রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

৬. শরীরে রক্ত সরবারহ বাড়াতে সাহায্য করে লেবুর খোসা। ফলে দেহের প্রতিটি কোণায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে যাওয়ার কারণে সার্বিকভাবে শরীরের কর্মক্ষমতাও বেড়ে যায়। ফলে ছোট-বড় নানা রোগই দূরে পালায়।

৭. লেবুর খোসায় উপস্থিত পেকটিন উপাদানটি শরীরে উপস্থিত অতিরিক্ত চর্বিকে ঝড়িয়ে ফেলে ওজন হ্রাসে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

৮. লেবুর খোসায় উপস্থিত পলিফেনল নামক উপাদান শরীরের মন্দ কোলেস্ট্রোরেলের মাত্রা কমায়। অন্যদিকে লেবুর পটাশিয়াম ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের রাগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

৯. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ লেবুর খোসা নিয়মিত খেলে লিভারে জমে থাকা টক্সিক উপাদান বের হয়ে যায়। এছাড়াও ত্বকের নিচে জমে থাকা টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়।ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের বয়স কমতে শুরু করে।

১০. প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম থাকায় লেবুর খোসা হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে শুরু করে।সেই সঙ্গে ইনফ্লেমেটরি পলিআর্থ্রাইটিস, অস্টিওপরোসিস এবং রিউমাটয়েড আথ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

১১. ফাইবারসমৃদ্ধ যেকোনো খাবার হজম ক্ষমতার উন্নতি করে। তাই তো বদ-হজম থেকে গ্যাস-অম্বল, যেকোনও হজম সংক্রান্ত সমস্যায় লেবুর খোসা দারুণ উপকারে আসে।

১২. লেবুর খোসায় উপস্থিত সাইট্রাস বায়ো-ফ্লেভোনয়েড শরীরে থাকা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমতে শুরু করে। ফলে সার্বিকভাবে মন, মস্তিষ্ক এবং শরীর একেবারে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। তাই তো এবার থেকে যখনই দেখবেন শরীর আর চলছে না, তখন অল্প করে লেবুর খেসা নিয়ে চটজলদি খেয়ে ফেলবেন। দেখবেন উপকার মিলছে।