• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

নতুন মায়েদের সুস্থতায় কিছু পরামর্শ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২২  

নতুন মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং বাচ্চাদের প্রতি যত্ন নিতে কিছু বিষয়ে আগ থেকেই সতর্ক হতে হবে। সন্তান জন্মের পর তাই কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখুন। যা সুস্থ মা ও বাচ্চার জন্য় অত্যন্ত জরুরি। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক নতুন মায়েদের সুস্থতায় কিছু পরামর্শ সম্পর্কে-

>>> সন্তান গর্ভে থাকাকালীন নিয়ম মেনে খাবার খেয়েছেন। সন্তান জন্মের পরও সেই নিয়ম মানতে হবে। নিয়ম করে খেতে হবে প্রতিবেলায়। বাচ্চার যত্ন নিতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়ায় অবহেলা করা যাবে না। এটি মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য় ক্ষতিকর হবে। যা বাচ্চার উপরও প্রভাব ফেলে।

>>> স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। বাইরের খাবার একদমই খাওয়া যাবে না। অস্বাস্থ্য পরিবেশে তৈরি খাবারও মায়ের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। পর্যাপ্ত ভিটামিন, মিনারেল, ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন। নতুন মায়েরা সঠিক খাবার খেলেই নবজাতক শিশু পুষ্টি পাবে। অন্তত ছয় মাস শিশু ব্রেস্ট ফিডিং করে। তাই মায়ের অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ প্রয়োজন।

>>> মায়েরা এই সময় অ্যালকোলন থেকে দূরে থাকুন। ধূমপায়ীদের থেকেও দূরে থাকতে হবে। এটি মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। যা শিশুকেও ক্ষতির সম্মুখীন করে। সন্তান জন্মের পর মায়ের শরীরও অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ে। বিশেষ করে অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে শিশু জন্ম নিলে মায়েদের আরো বেশি সতর্ক থাকতে হয়।

>>> আধুনিক যুগে অনেকে মেয়েরাই ধূমপানে অভ্যস্ত। সন্তান গর্ভধারণে এবং জন্ম নেয়ার পর ধূমপান থেকে একেবারেই দূরে থাকুন। ধূমপানে ক্ষতিকারক উপাদান মায়ের শরীরে থাকে। যা পরোক্ষভাবে শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।

>>> সন্তান জন্মের পর ভারী কোনো শরীরচর্চা থেকে বিরত থাকুন। হাঁটাচলা করতে পারেন। যতটা সম্ভব শারীরিকভাবে অ্যাকটিভ থাকুন। এতে শারীরিক জটিলতা কমে। তবে যে কোনো ব্যায়াম করা আগে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন।

>>> অতিরিক্ত লবণ ও চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। যতটা সম্ভব চিনি ও লবণ কম খাবেন। এটি মায়ের শরীরকে দুর্বল করে দেয়। শারীরিক জটিলতা বেড়ে যায় এমন খাবার থেকে বিরত থাকুন।

>>> সন্তান ব্রেস্ট ফিডিং করে। এই সময় ব্যথা অনুভব হলে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন। অনেক মা বিষয়টি এড়িয়ে যান। এটা ঠিক হবে না। নবজাতককে ব্রেস্ট ফিডিং করানোর সময় যে কোনো সমস্যা হলেই ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন। এই সময় শারীরিক কোনো পরিবর্তণ হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

>>> নতুন মাকে প্রচুর পানি পান করতে হবে। বিশেষ করে বাচ্চা স্তন্যপান করার সময় পানি পান করা আবশ্যক। এই সময় মায়েরা ডিহাইড্রেশনে ভুগতে পারেন। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করলে মা ও বাচ্চা দুজনই সুস্থ থাকবেন।

>>> নতুন মায়েরা মানসিক চাপমুক্ত থাকুন। সন্তান জন্মের পর মানসিক চাপ ও অস্থিরতা বেড়ে যেতে পারে। যা থেকে মায়ের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। শারীরিক যেকোনও জটিলতা এড়াতে মানসিক কোনো চাপ নেবেন না।

>>> নতুন মায়েরা যে কোনো ওষুধ খাওয়ার আগে সাবধান হোন। শরীর খারাপ লাগছে বলে নিজেই কোনো ওষুধ খেতে যাবেন না। এতে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। মনে রাখবেন, নবজাতক শিশু আপনার সঙ্গে জড়িত। আপনি যা খাবেন তার প্রভাব নবজাতকের ওপর পড়বে। তাই যে কোনো ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।