• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে

ফেরারি আসামির নেতৃত্বে বিএনপি এখন গভীর গর্তে

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৫ জুলাই ২০২০  

অস্ত্র চালান ও ঘুষ নেয়ার মামলায় এরইমধ্যে যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দণ্ডিত হয়ে লন্ডনে থাকায় আদালতের ভাষায় ফেরারি আসামি তিনি। আর তার নেতৃত্বে বিএনপি এখন গভীর গর্তে পতিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, দেশের মানুষ বিএনপির ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে তাদের অতীত  কর্মকাণ্ডের কারণে। একের পর এক অপকর্মে লিপ্ত হওয়ায় দেশের মানুষ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আর আস্থা রাখতে পারেনি।

তারা মনে করেন, রাজনৈতিক দলের জন্য নেতা ও নেতৃত্ব সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দুর্নীতি আর নেতৃত্বের ভুল সিদ্ধান্ত ও কর্মকাণ্ডে দল কীভাবে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ এখন বিএনপি। তাই চারদিকে কথা উঠেছে যে, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বিএনপির জন্য এখন বোঝা।

২০০১-২০০৬ মেয়াদে তারেক রহমানের হাওয়া ভবন বিএনপির জন্য ভয়ঙ্কর অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আর ২০১৫ সালে লাগাতার ৯২ দিন অবরোধের নামে জামায়াত-বিএনপির ক্যাডার বাহিনীর জ্বালাও-পোড়াও কর্মকাণ্ড,  গর্ভবতী নারীসহ প্রায় দুই শতাধিক নিরীহ মানুষকে হত্যা এবং আরো কয়েকশ’ মানুষ আগুনে পুড়িয়ে হত্যা বিএনপির ইতিহাসকে কলংকময় করেছে। সেই ইতিহাস মানুষ এখনো ভুলতে পারেনি, যা ক্রমাগতভাবে বিএনপিকে নিঃশেষ করে দিয়েছে।

হাওয়া ভবন কতখানি ক্ষতি করেছে দেশের সব মহল তা জানে। তার একটি বড় প্রমাণ পাওয়া যায় ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস মরিয়ার্টির ওয়াশিংটনে পাঠানো একটি বার্তা। পরবর্তীতে উইকিলিকসের মাধ্যমে বার্তাটি ফাঁস হয়, যার বিবরণ ২০১৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের কয়েকটি পত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়।

ওই বার্তায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে লাগামহীন ঘুষ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও ক্ষমতার যথেচ্ছা অপব্যবহারের কথা উল্লেখ ছিল। যা উইকিলিকস সূত্রে পত্রিকায় ছাপা হয়। 

২০০১-২০০৬ মেয়াদে অলিখিতভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তারেক রহমান। তিনি এমন কোনো কাজ করেননি যাতে দেশ-বিদেশে সামান্য হলেও দেশের  ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পায়। বরং দেশের সুনাম ধূলায় মিশিয়ে দিয়েছেন তিনি। যুদ্ধাপরাধী দল, একাত্তরের ঘাতক জামায়াতের সঙ্গে জোট বেঁধে তিনি গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করার পথ বেছে নিয়েছিলেন। অবাক হয়ে সারাবিশ্ব সেদিন দেখেছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের সেই বর্বরতা।

২০০৪ সালের ১ এপ্রিলে সংঘটিত ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলা, জার্মানির সিমেন্স কোম্পানি থেকে ঘুষ নেয়ার মামলায় এরইমধ্যে যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডিত হয়ে তারেক রহমান এখন লন্ডনে পলাতক আছেন। তিনি এখন আদালতের ভাষায় ফেরারি আসামি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম এক অনুষ্ঠানে বলেন, দেশের জনগণ অনেক সচেতন। তাদের চোখ ফাঁকি দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। কোন রাজনৈতিক দল কী চায়, কারা জ্বালাও-পোড়াও করে, মানুষ হত্যা করে কারা ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিল, তা মানুষ দেখেছে। জনগণের ওপর আস্থা নেই বলেই বিএনপি পেট্রল সন্ত্রাস করে ক্ষমতা চেয়েছিল। এখন তারা সেই আগুন সন্ত্রাসের প্রায়শ্চিত্ত করছে। আমরা নিশ্চিত যে বিএনপি একসময় মুসলিম লীগের মতো ইতিহাসের আস্তাকুঁড়েতে  নিক্ষিপ্ত হবে।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি মানেই আগুন সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, দুর্নীতি আর অপশাসন। বিএনপি এতো বছরে এক মিনিটের জন্যেও আন্দোলন করতে পারেনি। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা অপপ্রচার আর গুজবের ষড়যন্ত্র করছে। তাদের এই ষড়যন্ত্র জনগণকে নিয়ে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।