• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ

জমি রেজিস্ট্রেশনের ৮ দিনের মধ্যেই নামজারি: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০২০  

জমি রেজিস্ট্রেশন ও নামজারি কার্যক্রম সমন্বয় সাধনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর ফলে জমি রেজিস্ট্রেশনের ৮ দিনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নামজারি হয়ে যাবে।

সোমবার দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে সীমিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। 

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে ভার্চুয়াল এই সভায় যোগ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জমি রেজিস্ট্রেশন ও নামজারি কার্যক্রম সমন্বয় সাধনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর ফলে দেশের মানুষ, সর্বসাধারণ ও ইনভেস্টর সবার জন্য নতুন একটি অধ্যায় সৃষ্টি হল। এর ফলে মামলা-মোকাদ্দমাও কমে আসবে। 

চলতি বছরের প্রথমদিকেই কীভাবে জমি রেজিস্ট্রেশন ও নামজারি আরো কমফোর্ট করা যায়, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের যাতে হয়রানি না হয়, সময় যেন না লাগে। এখনকার সিস্টেমটি হলো ভূমি রেজিস্ট্রেশন ও নামজারি আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে সাব-রেজিস্টার অফিস ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন উপজেলা সার্কেল ভূমি অফিস থেকে সম্পন্ন হতো। দুটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকার ফলে সব সময় কমিউনিকেশন করা ডিফিকাল্ট ছিলে। এ কারণে দীর্ঘসূত্রিতা ছিল এবং রেজিস্ট্রেশনেও অস্পষ্টতা ছিল। যেকোনো জমি যে কেউ রেজিস্ট্রেশন করতে পারত।

তিনি জানান, এখন থেকে সাব-রেজিস্টার অফিস ও এসিল্যান্ড অফিসের মধ্যে একটা ইন্টারনাল সফটওয়্যার থাকবে। বাংলাদেশের সব এসিল্যান্ড অফিসে ৪ কোটি ৩০ লাখ রেকর্ড অনলাইনে চলে এসেছে। এখন থেকে সাব-রেজিস্টার অফিস ও এসিল্যান্ড অফিস একজন অপরজনের সার্ভারে ঢুকতে পারবে। যখন কারো কাছে জমি রেজিস্ট্রেশনের জন্য যাবে, তখন সাব-রেজিস্টার সঙ্গে সঙ্গে রেজিস্ট্রি করে দেবে না, তিনি অনলাইনে এসিল্যান্ডের অফিস থেকে রেকর্ড অব রাইটস স্ট্যাটাস্টিকসটা জানবেন।

এতদিন দুটি দলিল করতে হতো উল্লেখ করে সচিব বলেন, এখন থেকে তিনটি দলিল করতে হবে। বাড়তি একটা এসিল্যান্ড অফিসও পাবে। যেহেতু এসিল্যান্ড দলিল অনলাইনে পেয়ে যাচ্ছে এবং তার কাছ থেকেই জমির ভেরিফিকেশন করে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে তাই এসিল্যান্ডের আর বাড়তি কিছুই লাগবে না। তিনি অটোমেটিক্যালি সফটওয়্যার ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমেই মিউটেশন (নামজারি) কমপ্লিট করবে। এক্ষেত্রে কাউকে ডাকতে হবে না। এটা ম্যাক্সিমাম আটদিন সময় দেয়া হয়েছে। তবে ৮ দিনও সময় লাগবে না। এই ৮ দিনের মধ্যে অটোমেটিক্যালি নামজারি হয়ে যাবে। ১৭টি উপজেলায় এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। 

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অনেকে জমি রেজিস্ট্রেশন করেন, মিউটেশন করেন কিন্তু রেকর্ড করেন না। এখন থেকে রেকর্ডটাও করতে হবে। এসিল্যান্ডের দায়িত্ব থাকবে মাসিক রিপোর্ট দেবেন। কতটা মিউটেশন হল এবং কতটা রেকর্ড হল। নইলে খাজনা দিতে গেলে সমস্যা হয় এবং অনন্যা অনেক সমস্যা হয়।