• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

খাদ্য সংগ্রহ সফল করতে ঐক্যজোটের প্রতি বঙ্গবন্ধুর আহ্বান

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২১  

সরকারের খাদ্যশস্য সংগ্রহ অভিযানকে নিজ নিজ এলাকায় সফল করে তোলার জন্য আওয়ামী লীগ, মোজাফফর ন্যাপ এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সকল স্তরের কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি রাজনৈতিক দলের কর্মীদের তাদের নিজ নিজ এলাকায় খাদ্য সংগ্রহে নিয়োজিত সরকার নিযুক্ত সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করতে পরামর্শ দেন। ১৯৭৩ সালের এই দিন সবদলের কেন্দ্রীয় নেতারা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হলে তিনি এই আহ্বান জানান।

উল্লেখযোগ্য যে, প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী এ বৈঠকে জোটের নেতারা দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, খাদ্যশস্য সংগ্রহ অভিযান, ১৬ ডিসেম্বরের জাতীয় দিবস পালনের কর্মসূচি; প্রভৃতি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী নেতৃবৃন্দকে পল্লী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি সে বছর ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানগুলোতে দেশের সাধারণ মানুষ যাতে উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে অংশ নিতে পারে সেই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্মসূচি প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

বৈঠকে জোটের আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, ন্যাপ প্রধান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ, পঙ্কজ ভট্টাচার্য, মতিয়া চৌধুরী, চৌধুরী হারুনুর রশীদ, আব্দুস সালাম, আওয়ামী লীগের আনোয়ার চৌধুরীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর প্রতি ব্রেজনেভের অভিনন্দন

সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টি প্রধান লিওনেদ ব্রেজনেভ প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। ১৯৭৩ সালের এই দিন ভারত সফর শেষে দেশে রওনা হবার আগে ব্রেজনেভ বঙ্গবন্ধুকে এই অভিনন্দন জ্ঞাপনের জন্য বিমানবন্দরে নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনারকে তার সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবার সুযোগ দেন।

বাংলাদেশের অভ্যুদয় এশিয়ার একটি ইতিবাচক ঘটনা বলে উল্লেখ করেন তিনি। সোভিয়েত নেতার এই বিবৃতির জন্য ডেপুটি হাইকমিশনার ধন্যবাদ জানালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সাদর অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

দৈনিক ইত্তেফাক, ২ ডিসেম্বর ১৯৭৩

দৈনিক ইত্তেফাক, ২ ডিসেম্বর ১৯৭৩

সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার বিভিন্ন দলের অভিনন্দন

বঙ্গবন্ধু সরকার কর্তৃক দালাল আইনে আটক ব্যক্তিদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণাকে দল-মত নির্বিশেষে দেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষ আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। ১৯৭৩ সালের ৩০ নভেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণা অনুযায়ী যে সকল ব্যক্তি ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ অথবা পরিকল্পিত হত্যার দায়ে অভিযুক্ত অথবা দণ্ডপ্রাপ্ত তারা ব্যাতিত বাংলাদেশে দালাল আইন (বিশেষ ট্রাইবুনাল) ১৯৭২ বলে অভিযুক্ত অথবা সাজাপ্রাপ্ত সকলকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দান করা হবে।

তারা এজন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও উদারতার প্রশংসা করেন। জোটের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলের নেতা আতাউর রহমান খান বাংলাদেশ জাতীয় লীগের সাধারণ সম্পাদক অলি আহাদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাকসহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নেতাদের অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন এবং ক্ষমাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

ডেইলি অবজারভার, ২ ডিসেম্বর ১৯৭৩

ডেইলি অবজারভার, ২ ডিসেম্বর ১৯৭৩

জাপান শান্তির জন্য একযোগে কাজ করবে

মিস্টার ফুজির নেতৃত্বে সফররত জাপানি সংসদীয় প্রতিনিধি দল এদিন বিকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী সঙ্গে সাক্ষাৎকারের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করে বলেন বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ মৈত্রী বন্ধন পূর্ব এশীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে সক্রিয় অবদান রাখবে। তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। রাষ্ট্রপতি চৌধুরী আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ ও জাপান শান্তি ও প্রগতির পথে একযোগে কাজ করবে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় জাপানের জনগণের প্রদত্ত সমর্থনের কথা রাষ্ট্রপতি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে এই দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে।