• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আবদুল গাফফার চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানাবে সর্বস্তরের মানুষ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২২  

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাংবাদিক, কলামিস্ট ও ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল গাফফার চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানাবেন সর্বস্তরের মানুষ।

দুপুর ১টার দিকে তার মরদেহ আনা হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। পরে সেখানে তাকে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে  গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।

এর আগে শনিবার সকাল ১১টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ২০২ ফ্লাইটযোগে লন্ডন থেকে ঢাকার হজরত শাহজাহাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে তার মরদেহ বাংলাদেশে আসে। একই ফ্লাইটে আসেন আবদুল গাফফার চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা। 

সরকারের পক্ষে তার মরদেহ গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তার সঙ্গে ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন  প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ,  সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য   মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের  হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন পর্বের পর গাফফার চৌধুরীর মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হবে বিকেল সাড়ে ৩টায়। পরে বিকেল ৪টায়  মরদেহ জাতীয় প্রেসক্লাবে আনা হবে। সেখানে সাংবাদিকরা তার মরদেহবাহী কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় আবদুল গাফফার চৌধুরীকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।

১৯ মে ভোরে লন্ডনের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আবদুল গাফফার চৌধুরী। তাঁর  বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

আবদুল গাফফার চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর। বরিশালের উলানিয়া গ্রামের চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা হাজি ওয়াহিদ রেজা চৌধুরী ও মা জহুরা খাতুন। 

স্বাধীনতাযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক ‘জয় বাংলা’র প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ছিলেন তিনি।