• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

ব্রুনাইয়ে সার কারখানা স্থাপন করতে চায় বাংলাদেশ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২২  

গ্যাস সংকটে ব্রুনাইয়ে সার কারখানা স্থাপন করতে চায় বাংলাদেশ। সুলতান হাসানাল বলকিয়াহ’র বাংলাদেশ সফরকালে এই প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি। বিষয়টিকে ইতিবাচক ও সময়োপযোগী বলছেন অর্থনীতিবিদরাও।

দেশের কৃষিখাতে বছরে ইউরিয়া সারের চাহিদা প্রায় ২৬ লাখ টন। যার মধ্যে ৭ থেকে ১০ লাখ টন উৎপাদন হয় দেশে। বাকি চাহিদা পূরণ হয় আমদানির মাধ্যমে। ব্যয় হয় বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।

এমন বাস্তবতায় কৃষি উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখাতে দেশে সারের যোগান বাড়ানো জরুরি। তবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে গ্যাস সংকট। এছাড়া গ্যাসের চাপ কমায় শিল্পখাতেও পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব।  

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই বলছে, শিল্পখাতে গ্যাসের সরবরাহ ঠিক না থাকলে উৎপাদন ও রপ্তানি ক্ষগিগ্রস্ত হবে। এ অবস্থায় নতুন সার কারখানা নির্মাণের সুযোগ কম। তাই ব্রুনাই, কাতার ও সৌদি আরবের মতো বন্ধুপ্রতিম দেশে কারখানা স্থাপন করে সার আনা যায় কিনা, সেদিকে মনোযোগ দেয়ার সময় এসেছে।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, “আমি মনে করি বাংলাদেশ আর ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি করা উচিত নয়। কেননা আমাদের গ্যাসের স্বল্পতা রয়েছে। বাংলাদেশের উচিত এখন সৌদি-কাতার-ইরান বা ব্রুনাইতে ফ্যাক্টরি করা।”

ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়াহ’র বাংলাদেশ সফরে তাঁর সাথে আসা দেশটির মন্ত্রীদের সেখানে সার কারখানা স্থাপনের বিষয়ে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি।

মো. জসিম উদ্দিন বলেন, “তাদেরকে বলেছি যে, তোমাদের যেহেতু গ্যাস আছে তাই ফার্টিলাইজার ওখানে বানিয়ে আমরা এখানে নিয়ে আসতে পারি। আমাদের এখন এই ধরনের চিন্তা করতে হবে। ”

এদিকে, ব্যবসায়ীদের এমন প্রস্তাবকে খুবই ইতিবাচক বলছেন অর্থনীতিবিদরা।

অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “তাদের তেল সম্পদ ও গ্যাস সম্পদ আছে। সেই সাথে তাদের প্রচুর অর্থ আছে। তারা চাইলেই যে কোনো ধরনের বিনিয়োগ করতে পারে। যে প্রস্তাবটা দেওয়া হয়েছে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের অভ্যন্তরীণ গ্যাস ব্যবহার করে আমরা যদি সেখানে একটা ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি করি, তা বিশ্ব বাজারদরে কিনে আনলাম।”

বিদেশে সার কারাখানা স্থাপন করা গেলে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি তৃতীয় দেশেও রপ্তানি করা যাবে বলে মনে করছেন তারা।

এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, “তারা হয়তো আসিয়ানের সদস্য, আমরা কিন্তু ওখান থেকে আসিয়ান মার্কেটেও দিতে পারি।”