• বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

  • || ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ

স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেনের মৃত্যু বার্ষিকী

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২২  

 জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতির নাম সৈয়দ মাইনুল হোসেন। মুন্সিগঞ্জ জেলার দামপাড়া গ্রামে ১৯৫২ সালের ৫ মে তাঁর জন্ম। তাঁর বাবা ছিলেন কলেজশিক্ষক, মাতামহ ছিলেন কবি গোলাম মোস্তফা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্থাপত্যবিদ্যায় প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক পাস করেন ১৯৭৬ সালে। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ সরকারের গণপূর্ত বিভাগ মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের জন্য একটা জাতীয় স্মৃতিসৌধ নির্মাণের পরিকল্পনা নেয় এবং নকশা আহ্বান করে। প্রথমবার কোনো নকশা মনোনীত হয়নি। দ্বিতীয়বার জমা পড়েছিল ৫৭টি নকশা, সেগুলোর মধ্য থেকে গৃহীত হয় সৈয়দ মাইনুল হোসেনের করা নকশা।
জেনারেল এরশাদের বিশেষ নির্দেশে ওটার নির্মাণকাজ শেষ করা হয়েছিল খুব তাড়াহুড়ো করে। এরশাদ সামরিক শাসন জারি করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছেন কয়েক মাস আগে। সারা দেশ তাঁর বিরুদ্ধে, বিন্দুমাত্র সমর্থন কোথাও নেই। তাই তিনি চাইছিলেন পরবর্তী ১৬ ডিসেম্বরে জাতীয় স্মৃতিসৌধের নির্মাণকাজ শেষ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সহানুভূতি-সমর্থন লাভ করতে। তাড়াহুড়োতেই নির্মাণকাজ শেষ করা হয়েছিল এবং সত্যিই ১৯৮২ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট এরশাদ সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করেন।
কিন্তু স্বৈরশাসক এরশাদ জাতীয় স্মৃতিসৌধের সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেনকে আমন্ত্রণ জানাননি। মাইনুল আমাকে বলেছিলেন, আমন্ত্রণ না পেয়েও তিনি সেদিন সাভার গিয়েছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রীয় ভিআইপিরা চলে যাওয়ার পর তিনি জনতার কাতারে দাঁড়িয়ে দেখেছিলেন নিজের করা নকশায় নির্মিত সৌধটি।
২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।