• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক সকল ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতে কাজ করছে বিএসটিআই: প্রধানমন্ত্রী চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ যত ষড়যন্ত্র হোক, আ.লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না: ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী

শ্যালককে হত্যা করে ছদ্মবেশে সাভারে ৯ বছর, অতঃপর...

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০২০  

নারায়ণগঞ্জে শ্বশুরের কাছে ব্যবসার জন্য টাকা চেয়ে না পেয়ে একমাত্র শ্যালককে হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার পলাতক আসামি হাফিজুর রহমান ওরফে হাফেজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। দীর্ঘ ৯ বছর পর সোমবার দিবাগত রাতে সাভার পৌর এলাকার ওয়াপদা রোড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার হাফিজুর রহমান ওরফে হাফেজ (৩৫) নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার ডাঙ্গাপুর কালীবাড়ী গ্রামের মৃত আ. গাফফার রহমানের ছেলে।

র‌্যাব জানায়, দীর্ঘ ৯ বছরের মধ্যে পলাতক হাফেজ তার নাম ও বাবার নামসহ যাবতীয় ঠিকানা পরিবর্তন করে মো. নবী হোসেন, ধামরাই থানার চৌহাট বাইনা গ্রামের মো. মেহেদী হাসানের ছেলে পরিচয়ে বসবাস করে আসছিলো। ২০১১ সাল থেকেই এই ঠিকানা ব্যবহার করে সাভারে বসবাস করলেও কারও কোন সন্দেহ হয়নি।

র‌্যাব-৪ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফা জানান, হাফিজুর রহমান ওরফে হাফেজ ২০০৬ সালে সোনারগাঁও থানা এলাকার হাজী মোঃ আব্দুল্লাহ এর মেয়ের রিভা আক্তারের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ব্যবসা জন্য শ্বশুরের কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় একমাত্র শ্যালক মো. মাহফুজুর রহমান ওরফে রিফাতকে (১৯) কৌশলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ২০১১ সালে ২৮ এপ্রিল বাসায় ডেকে নিয়ে হত্যা করে।

এ ঘটনায় মেয়ে জামাই হাফিজুরকে প্রধান আসামী করে ৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের পহেলা মে সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা হাজী মোঃ আব্দুল্লাহ। মামলার ৫ আসামি গ্রেফতার হলেও পালিয়ে যায় প্রধান আসামি হাফিজুর।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ৯ বছর ছদ্মবেশে নতুন পরিচয়ে সাভারে বসাবাস করে আসছিলো সে। পরে গোপন সংবাদ ও প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর নিজের আসল পরিচয় অস্বীকার করলেও জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে নিজের পরিচয় নিশ্চিত করে হাফেজ। সে সাভারের জমি কেনাবেচার ব্যবসার পাশাপাশি ধামরাই একটি কারখানায় চাকরি করত।