• বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

  • || ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ

আমনে কৃষকের মুখে হাসি

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০২২  

জেলায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আমন ধানের চাষ হয়েছে। ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। বিগত মৌসুমে ধানের দাম ভালো পাওয়ায় এবং কৃষি বিভাগ ও কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই এ সফলতা এসেছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে ধান কাটা। কৃষকরা এখন জমির ধান কেটে ঘরে উঠানোর কাজে ব্যস্ত। আমন ধানে ভরে গেছে ফসলের মাঠ। ধনবাড়ী উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ বলেন, ধান খেতের কোনো সমস্যা দেখা দিলে আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে মাঠে গিয়ে পরামর্শ দিচ্ছি।

 

ক্ষতিকর পোকা দমনে কৃষকদের পাচিং পদ্ধতি ব্যবহারে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহসানুল বাশার জানায়, চলতি মৌসুমে  জেলায় ৯৫ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আবাদ হয় ৯৮ হাজার ৪শ’ ৭২ হেক্টর জমিতে। এখান থেকে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দুই লাখ ৬০ হাজার টন। বীজ রোপণ থেকে শুরু করে ফসল ঘরে ওঠা পর্যন্ত কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা। কৃষি বিভাগ জানায়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে সামান্য কিছু ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারিভাবে পুনর্বাসন করা হবে।
 ধানখেত যেন সোনালি রঙে সেজেছে। ফলে কৃষকদের মনে আনন্দ বিরাজ করছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সঠিক পরিচর্যার ফলে আশানুরূপ ফলন হয়েছে। কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজলোয় এবার প্রায় ২৭ হাজার ৬১০  হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে উফশী বিভিন্ন জাতের আমন চাষ হয়েছে। এ ধরনের জাতের মধ্যে রয়েছে ব্রি-৭১, ব্রি-৭২, ব্রি-৭৪, ব্রি-৮৭, ব্রি-৭৬, বিনা-৭ ও ১৬ জাতের ধান।

বাকেরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুছা ইবনে সাঈদ বলনে, আমন মৌসুমে কম সময়ে অধিক ফলন হয়, এমন জাতের ধানের আবাদ বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি। চলতি আমন মৌসুমে ১৬০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে এক বিঘা হারে পাঁচ কেজি উফশী ধানের বীজ ও কৃষকপ্রতি ১০-২০ কেজি বিনামূল্যের সার বিতরণ করেছি। নতুন জাতগুলোর শতাধিক প্রর্দশনী দেওয়া হয়েছে। ফলনো ভালো হয়েছে। জমিতে বোরো চাষের পর আলু, সরিষাসহ রবিশস্য উৎপাদন করতে পারবে। এটি কৃষকদের বোনাস ফসল। কৃষকের উৎপাদন এবং আয় দুটোই বাড়বে।