• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

শিশুর চর্মরোগ সারিয়ে তুলবেন যে উপায়ে

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৬ জানুয়ারি ২০২০  

শিশুর শরীরে হঠাৎই লাল ছোপ কিংবা চুলকানি হচ্ছে? এক্ষেত্রে অবশ্যই দুশ্চিন্তার কারণ রয়েছে! এমন লক্ষণ একজিমার প্রভাবেও হতে পারে!

বর্তমানের প্রাকৃতিক দূষণ শিশুর এই সমস্যার জন্য দায়ী। শুধু পরিবেশগত কারণেই নয় বংশগত কারণেও শিশুর একজিমা বা চর্মরোগ হতে পারে। এর প্রভাবে শিশুর কোমল ত্বক লালচে হয়ে ফুসকুড়ির মতো দেখা দেয়। এতে চুলকানি ও ব্যথা হয়ে থাকে। 

জানেন কি? আপনার শিশুর খাবারে থাকা অ্যালার্জির কারণেও হয়ত বেড়ে হতে পারে প্রদাহজনিত সমস্যা। যেমন- দুধ, ডিম, চিনাবাদাম এবং অন্যান্য বাদাম, গম এমনকি মাছেও থাকতে পারে অ্যালার্জি।

একজিমার লক্ষণ

শিশুর ত্বকে এসময় লাল লাল র‌্যাশ বের হয়। এছাড়াও ত্বক অত্যন্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। মাঝে মাঝে শিশু তার নখ দিয়েই আক্রান্ত স্থান চুলকাতে থাকে। এতে প্রদাহ আরো বেড়ে যায়। প্রথম দিকে একজিমার এই সমস্যা শিশুর ত্বক ও মাথার স্ক্যাল্পে হয়ে থাকে। 

পর্যায়ক্রমে শিশুর হাত ও পায়েও এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদিও একজিমার চিকিৎসা হিসেবে সবাই ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ও স্টেরোয়েড ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন। তবে কিছু ঘরোয়া উপায়ও রয়েছে যাতে করে শিশুর একজিমা প্রতিরোধ করা সম্ভব-

১. যেসব শিশুরা একজিমার সমস্যায় ভুগছে তাদের বছরব্যাপী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। বিশেষ করে শীতকালে প্রয়োজন বাড়তি যত্ন। এজন্য ময়েশ্চারাইজার ক্রিমের পাশাপাশি বিভিন্ন তেলও ব্যবহার করা যেতে পারে। ভালো ফল পেতে অবশ্যই গোসলের পর ময়েশ্চারাইজার ক্রিম অথবা তেল ব্যবহার করুন। 

২. সূর্যমুখীর তেল একজিমা রোগের যম হিসেবে কাজ করে। এতে চুলকানির সমস্যাও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। অতিরিক্ত শুষ্কতা দূর করতেও এই তেলের ভূমিকা অত্যাধিক। আবার শিশুদের শরীরের জন্যও এই তেল নিরাপদ। ২০১৩ সালে পেডিয়াট্রিক ডার্মাটোলোজির এক প্রতিবেদনের তথ্য মতে, সূর্যমুখীর তেল ত্বকের আর্দ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে একজিমার সমস্যা দ্রুত সমাধান মেলে। 

৩. নারকেল তেলও একজিমা রোধে বেশ কার্যকরী। শিশু বা প্রাপ্ত বয়ষ্ক সবার জন্য এই তেল উপকারী। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানসমূহ। শিশুদের ত্বকের শুষ্ক ভাব কমাতে এই তেল দারুন কাজ করে। 

 

 

৪. একজিমা প্রতিরোধ করতে আপনার শিশুর নখ অবশ্যই ছোট করে কেটে দিবেন। সে যেন কোনাভাবেই আক্রান্ত স্থানে চুলকাতে না পারে।

৫. গোসলের শিশুর শরীরে কোনোভাবেই সাধারণ ফেনাযুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। এতে প্রদাহ আরো বেড়ে যেতে পারে। ক্ষারহীন অতি নমণীয় সাবান ব্যবহার করুন শিশুর ত্বকে।

৬. যেসব খাবারে শিশুর অ্যালার্জি হতে পারে সেসব তাকে না খেতে দেয়াই শ্রেয়। 

৭. শিশুকে ঘন ঘন পানি খাওয়াতে হবে। এতে ত্বক আর্দ্র থাকবে।

৮. সূর্যের তাপ ও ঘাম হলে একজিমার সমস্যা আরো বেড়ে যায়। এজন্য অবশ্যই শিশুকে ধুলা-বালি ও রোদে খেলা করা থেকে বিরত রাখতে হবে। এমনকি যাতে অতিরিক্ত ঘাম না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখুন।

৯. একজিমায় আক্রান্ত শিশুর সামনে কখনোই ধূমপান করবেন না। এছাড়াও কেমিক্যাল জাতীয় কোনো স্প্রে কিংবা জীব জন্তুর আশেপাশে তাকে না যেতে দেয়াই ভালো।

১০. অবশ্যই শিশুকে পরিষ্কার থাকার উপায়গুলো বেড়ে উঠার সঙ্গে সঙ্গে শেখাতে হবে।