• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

ঢেঁকিছাঁটা চাল খেলেই থাকবেন সুস্থ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

 

বাঙালির প্রধান খাদ্য ভাত। ধবধবে সাদা ভাত খেতে কে না ভালোবাসে। কেবল আমাদের দেশ নয়, পুরো পৃথিবীজুড়ে এমন ভাত জনপ্রিয়। তবে জানেন কী, চাল যত চকচকে হয় তার গুণ তত কম হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ এই পলিশ করা ভাত। 

প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে খাবেন কী? বিশেষজ্ঞরা এ ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিচ্ছেন ঢেঁকিছাঁটা চালকে। একসময় গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে শহরের বাসিন্দারা এই চাল খেতেন। এখন সেই অভ্যাসটি হারিয়েই গেছে বলা যায়। 

ঢেঁকিছাঁটা চালের পুষ্টিগুণ 

খাদ্যোপযোগী ঢেঁকিছাঁটা সিদ্ধচাল প্রতি ১০০ গ্রামে রয়েছে ১২ দশমিক ৬ গ্রাম জলীয় অংশ, শূন্য দশমিক ৯ খনিজ গ্রাম, ৩৪৯ গ্রাম খাদ্যশক্তি (কিলোক্যালরি), ৮ দশমিক ৫ গ্রাম আমিষ, শূন্য দশমিক ৬ গ্রাম চর্বি, ৭৭ দশমিক ৪ গ্রাম শর্করা, ১০ মিলি গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২ দশমিক ৮ গ্রাম লৌহ,৯ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন। 

কেন খাবেন ঢেঁকিছাঁটা চাল? 

বর্তমানে বাড়তি ওজনের জন্য বদলে যাচ্ছে খাবারের ধরন। ওজন কমানোর জন্য নানা বিকল্প বেছে নিচ্ছেন মানুষ। শরীর চর্চা করার পাশাপাশি আমরা অভ্যস্ত হচ্ছি লো ফ্যাট ডায়েটে। যার ফলে একটু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেখা দেয় ক্যালসিয়ামের অভাব, হাড়ক্ষয়, গাঁটে ব্যথা ইত্যাদি। 
ভাত আমাদের দেহের শর্করা ও আমিষ দুইয়ের সরবরাহ করে। কিন্তু পলিশ করা চালের ভাতে এই উপাদানগুলো কম থাকে। অন্য দিকে আপনি যদি ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত খান তবে এই দুটি উপাদান পুরোপুরি পাবেন। এতে স্বাদ যেমন বাড়বে তেমনি পুষ্টিও থাকবে ঠিকঠাক। 

ডায়াবেটিস রোগীদের ভাত কম খেতে বলা হয়। তবে ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত তারা খেতে পারবেন। সেসঙ্গে যারা হাঁটু ও কোমরের ব্যথায় ভোগেন তারাও ঢেঁকিছাঁটা চাল খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন।