• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক সকল ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতে কাজ করছে বিএসটিআই: প্রধানমন্ত্রী চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ যত ষড়যন্ত্র হোক, আ.লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না: ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী

দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে জলবায়ু সম্মেলন

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০১৮  

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জোরালো হওয়ার মধ্যে দিয়ে রবিবার (০২ ডিসেম্বর) পোল্যান্ডে শুরু হয়েছে এ সংক্রান্ত বৈশ্বিক সম্মেলন। এতে যোগ দিয়েছেন প্রায় ১৮৩টি দেশের প্রতিনিধি। জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার সীমিত করতে ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে গৃহীত পদক্ষেপগুলো এবার তাদের অনুসমর্থন করতে হবে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এবারে পোল্যান্ডের কাতোভিতসা (Katowice) শহরে সম্মেলনটি শুরু হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমিত করতে যেসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা দরকার এখন পর্যন্ত সেগুলো নিয়ে প্রভাবশালী দেশগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতা অধরা। একদিকে দরিদ্র দেশগুলো চাইছে, ধনী দেশগুলোর বর্ধিত অংশগ্রহণ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মতো ধনী দেশ চুক্তি থেকে বেরিয়েই গেছে, যদিও তা কার্যকর হবে ২০২০ সালে। যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে ব্রাজিলের মতো দেশ।

 

তিন বছর আগে প্যারিসে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলো বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে বিষয়ে একমত হয়েছিল। সেখানে নির্ধারিত হয়েছিল, দেশগুলো সম্ভব হলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখার চেষ্টা করবে। গত তিন বছরে এসব লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ জোরদার করা তো দূরে থাক বরং পদক্ষেপগুলো নিয়ে রাজনৈতিক বিভেদ আরও বেড়েছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির প্রভাবেই বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে নানান প্রাকৃতিক বিপর্যয়। একদিকে যেমন দেখা যাচ্ছে দাবানল, অন্যদিকে তেমন দেখা দিচ্ছে হ্যারিকেন।

 

পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গিন যে জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর আগে অনুষ্ঠিত সম্মেলনগুলোর সাবেক সভাপতিরা এক যৌথ বিবৃতিতে, দ্রুত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতির ভাষ্য, ‘যত দিন যাচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ততই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। আমাদের অর্থনীতি এবং সমাজ ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন প্রয়োজন।’

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যে সময় পেরিয়ে গিয়েছে ২০১৫ সালের প্যারিস অ্যাকর্ডের পর তাতে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে সীমিত রাখার জন্য তিনগুণ প্রচেষ্টার দরকার হবে। আর যদি লক্ষ্য হয় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে সীমিত রাখার, সেক্ষেত্রে পাঁচ গুণ বেশি প্রচেষ্টার দরকার পড়বে। অথচ প্যারিস অ্যাকর্ডে উল্লেখিত পদক্ষেপগুলোই বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালতে ইচ্ছুক নন ট্রাম্প। তিনি প্যারিস অ্যাকর্ড থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ২০২০ সালে চূড়ান্তভাবে তা বাস্তবায়িত হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ার প্রেক্ষিতে বরং এখন আরও পক্ষ প্যারিস অ্যাকর্ড থেকে সরে যেতে পারে বলে মনে করেন ‘ইউরোপিয়ান ক্লাইমেট ফাউন্ডেশনের’ প্রধান লরেন্স তুবিয়ানা। এদের একজন ব্রাজিলের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো। তিনি নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর সময়েই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকেই অনুসরণ করবেন।

দেশগুলোর মতদ্বৈততার মূল বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে যেসব পদক্ষেপ প্রস্তাব করা হয়েছে সেগুলোর বাস্তবায়নের জন্য অর্থায়ন হবে কীভাবে তা নিয়ে। বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর দাবি, যেহেতু বর্তমান বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোই ঐতিহাসিকভাবে সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী, সেহেতু তাদেরই উচিত সার্বিকভাবে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দিয়ে দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তা করা। এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলো মনে করে, প্যারিস অ্যাকর্ডের শর্ত মেনে নিলে তাদের অর্থনীতি স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি রাজ্যের গভর্নররা প্যারিস অ্যাকর্ড সমর্থন করে যাচ্ছেন।