• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

লিজ ট্রাসের বিকল্প খুঁজছে কনজারভেটিভরা

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২২  

দায়িত্ব নেয়ার মাস খানেকের মধ্যে ক্ষমতা হারানোর পথে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। জল্পনা শুরু হয়েছে, ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ নেতারা তার জায়গায় নতুন কাউকে আনার পরিকল্পনা করছেন। সম্ভাব্য সেই তালিকায় রয়েছে সাবেক অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ট্রাসের প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাক ও সাবেক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী পেনি মরডান্ট। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এমনটাই দাবি করা হচ্ছে।

জাতীয় নির্বাচনে নয়, দলীয় নেতাদের নির্বাচনে জিতে মাত্র মাস খানেক আগেই সরকার গঠন করেছেন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। এর মধ্যেই অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দেয়া নিয়ে আইনপ্রণেতাদের চাপের মুখে পড়েন তিনি।

এ অবস্থায় গত শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) নিজের প্রধানমন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখতে অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেংকে বরখাস্ত করেন তিনি। সে পদে বসান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ট্রাসের প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাককে সমর্থনকারী সাবেক অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্টকে।

কিন্তু এবার খোদ লিজ ট্রাসকে সরানো নিয়েই দলের সংসদ সদস্যদের মধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। তার জায়গায় উঠে আসছে ঋষি সুনাকের নাম। বিভিন্ন বেটিং সাইটে এ নিয়ে বাজিও ধরা হচ্ছে।

চলতি বছরের মধ্যেই  ট্রাসকে প্রধানমন্ত্রী থেকে সরানো হতে পারে—এমন বাজির দর অনেক বেশি। লিজ ট্রাসকে সরানো হলে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাজির দরে এগিয়ে আছেন ঋষি সুনাক। অবশ্য বরিস জনসনের ফিরে আসা নিয়েও কিছু বাজি ধরা হচ্ছে।

করছাড়ের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে নির্বাচনের আগে ব্যাপক প্রচারণা চালান লিজ ট্রাস। করপোরেট কর বাড়ানোর পদক্ষেপ বাতিলের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর শুরুটাও সেভাবে করেন। তিনি এখনও জোর দিয়ে বলছেন, ব্রিটেনের প্রবৃদ্ধির হার বাড়ানোই তার লক্ষ্য।

কিন্তু তিনি লক্ষ্যে অটুট থাকতে পারেননি। যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পরই কর হ্রাসসহ সংক্ষিপ্ত বাজেট দিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন সে দেশের অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং।

তখনই অভিযোগ উঠেছিল, এ কর হ্রাস করা হয়েছে মূলত ধনীদের জন্য। আবার সেই ছাড়ের অর্থ কীভাবে পূরণ হবে, তার রূপরেখা তিনি দেননি। সেই অভিযোগেই অর্থমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

৪২ বছর বয়সী ঋষি প্রথম থেকেই প্রধানমন্ত্রিত্বের লড়াইতে এগিয়ে ছিলেন অন্যদের থেকে। তাই দলের সদস্যরা চাইছেন, ঋষিকে প্রধানমন্ত্রী ও মরডন্টকে উপপ্রধানমন্ত্রী করা হলে অর্থনীতির পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব। আবার কেউ কেউ চাইছেন, সুনাককে অর্থমন্ত্রী করা হোক আর মরডান্টকে দেয়া হোক দলের দায়িত্ব।