• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:

মঠবাড়িয়ায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার,উপচেপড়া ভিড়

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২২  

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :

ঈদ মানেই আনন্দ, আর ঈদ মানে খুশি, আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার। ঈদকে লক্ষ্য করেই শিশু থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মাঝে আনন্দের যেন শেষ নেই। সবাই এখন নতুন জামা কাপড়সহ নানা সাজগুজের কেনাকেটার জন্য ছুটে যাচ্ছেন গার্মেন্টস. টেইলার্স (কাঁটা কাপড় দোকান) ও কসমেটিক্স এর দোকান গুলোতে।  পাশাপাশি মুদি-মনোহরী দোকান গুলোতেও ভীর দেখা গেছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ইতিমধ্যে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। ক্রেতাদের পদচারণায় মুখতির পৌর শহরসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের সব ধরনের বাজারগুলো। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য টহলে রয়েছে পুলিশ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গতবারের চেয়ে এবার ঈদের বাজার বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। বাহারী রঙ্গের পোশাক, মাহিলাদের সূতি ও নেট টিসু শাড়ীর প্রতি আকর্ষণ বেশী ক্রেতাদের। পুরুষদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ডিজাইনের পাঞ্জাবী। মেয়েদের কাপড়ের মধ্যে ভারতীয় গোল ড্রেস সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয়। পোষাকের দোকানগুলোতে বেশ কয়েকদিন ধরে চলছে পুরোদমে বেচাকেনা। দম ফেলার সুযোগ নেই দোকানীদের। প্রতিটি দোকানে ক্রেতাসমাগমে বিক্রিতাদের মুখে হাসি। ক্রেতা আকর্ষণে অধিকাংশ দোকানের সামনেই দেওয়া হয়েছে ঝারবাতি। বাহারি ডিজাইনের পোশাক দোকানে তুলেছে ব্যবসায়ীরা। শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতীসহ নানা বয়সী ক্রেতাদের পদভারে পৌর শহরের মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেট, আজিজ সুপার মার্কেট, কে.এম লতিফ সুপার মার্কেটের ও লেপপট্টির মার্কেটে বইছে ঈদের আমেজ। ক্রেতাদের মধ্যে ছেলে, মেয়ে ও মহিলারাই বেশী। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ভারতীয় পণ্যে বাজার সয়লাব। খান টেইলার্সের সত্ত্বাধিকারী মোঃ জিয়া উদ্দিন জানান, ভারতীয় পণ্যে বাজার সয়লাব থাকলেও এবছর দেশীয় পণ্যের চাহিদা একটু বেশী। ক্রেতা সমাগমও সন্তোষ জনক।

মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেটের শতরূপা টেইলার্সের সত্ত্বাধিকারী মোঃ আসাদুজ্জামান মঞ্জু জানান, এ বছর প্রিন্টের কাপড়ের চাহিদা বেশী। এর মধ্যে বাংলাদেশী ফেব্রিক্স, পাকিজা, বেক্সি ফেব্রিক্সসহ বাংলাদেশী সূতি কাপড়েরও চাহিদা রয়েছে। ইন্ডিয়ান বুটিক্স ও পাঞ্জাবির কাপড়েরও প্রচুর ক্রেতা রয়েছে। 

তাছাড়া বিভিন্ন মার্কেটে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এবছর বাচ্চাদের জন্য সামু সিল্ক ও ঢালী ড্রেস খুব বেশী বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া যুবতীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে আচল, কুর্তি, ক্যাপাটা, গাউন সেট, লেহেংগা, ফোর পার্ট, কটিসেটসহ ভারতীয় বিভিন্ন ব্রান্ডের থ্রি-পিচ। ক্রেতা নুসরাত নাহার জানান, এবার ভারতীয় পোশাকের দাম বেশী মনে হচ্ছে। তারপরেও ঈদুল ফিতরের উৎসব উপভোগ করতে বেশী দাম দিয়ে পোশাক ক্রয় করতে হয়েছে। এদিকে টেইলার্সগুলোতে কারিগররা রাত গেজে পোশাক তৈরি করছে। নামীদামী টেইলার্সগুলো কয়েক দিন আগে থেকেই অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া কসমেটিক্সের দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে ঘর সাজানোর নানা সামগ্রী।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল জানান, করোনা পরিস্থিতিতে বিগত দিনগুলোতে সাধারণ মানুষ তেমন কেনাকাটা করতে পারেননি এবং দোকানীরাও ব্যবসায় পিছিয়ে ছিলেন। এ বছর বেশ জমজমাট চলছে ঈদ বেচাকেনা। তাই ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য পৌর শহর ও ইউনিযন পয়ায়ের জবাজার গুলোতে পুলিশ টহলে রাখা হয়েছে।