• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

মঠবাড়িয়া পৌর শহরের ভাসমান দোকান উচ্ছেদ শুরু ॥ পৌর বাসির স্বস্তি

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২২  

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পৌর শহরের ব্রিজ এবং ওলি-গলিতে গড়ে ওঠা ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করেছে পৌর প্রশাসক। এতে  নগর বাসি, পথচারী ও গাড়ি চালকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। নব নিযুক্ত পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি ভৌমিক এর নির্দেশে গত ৩ দিন ধরে চলছে ভাসমান দোকান উচ্ছেদের কার্যক্রম।

গত রোববার সকালে পৌর ভবনের সভা কক্ষে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি ভৌমিক এক জরুরী সভায় পরিস্কার নগরী গড়ার লক্ষে করনীয় এক মত বিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, সহকারি কমিশণার (ভূমি) সাখাওয়াত জামিল সৈকত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া সার্কেল) মোহাম্মদ ইব্রাহীম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান সিফাত, ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ, নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল সালেক, বনিক সমিতির সভাপতি মো. শামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক শামসুল আহসান খোকা, জুলফিকার আমীন সোহেল, জামাল এইচ আকনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া সার্কেল) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পৌর শহরে দ্রুত সিসি ক্যামেরা স্থাপণ করা প্রয়োজন। এতে পৌর শহরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নতি হবে। অপরাধীরা অপরাধ করতেও সাহস পাবে না।

পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি ভৌমিক বলেন, এখন আর পৌর শহরে ফুটপাতে কেউ অবৈধভাবে দোকান বসতে পারবে না । বন্ধ হবে অতিরিক্ত খাজনা আদায়। মাছ বাজার ছাড়া কোন মাছ ব্যবসায়ী রাস্তার পাশে মাছ নিয়া বিক্রয় করতে পারবে না। ইজারাদাররা অতিরিক্ত খাজনা আদায় করতে পারবে না পৌরসভা থেকে যে খাজনার চার্ট দিবে সেই হারে খাজনা আদায় করতে হবে। নির্দিষ্ট অটোরিকশা ছাড়া কোন অটোরিকশা পৌর শহরে চলাচল করতে  পারবে না। প্রতি অটোরিকসার ডান পাশে এ্যানগেল লাগাতে হবে, যাতে ডানপাশ দিয়া কোন যাত্রী নামতে না পার। এতে দুর্ঘটণার সম্ভবনা কম থাকে। রাত ৯ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত শহরের মধ্যে ব্যবসায়ীদের দোকানের মালামাল আনলোড করতে হবে। এই সময়ের বাহিরে কেউ মালামাল আনলোড করতে পারবে না। রাত ৮ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত ইট, বালু, সিমেন্টের গাড়ি শহরে চলাচল করবে। পৌর বাসির সুবিধার্থে এ সকল সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নগর পরিচ্ছন্ন না হওয়া পর্যন্ত উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।