• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

মঠবাড়িয়ায় পরকিয়ার জেরে খুন॥ ঘাতক স্বামী স্কুল ও স্কুল শিক্ষিকা গ্রেপ্তার

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২২  

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পরকিয়ার জেরে বিউটিশিয়ন শাম্মী আক্তার (৪০) কে খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহতের ছেলে সাইম আলম (১৭) বাদি হয়ে ফুপু ও সৎ বাবাকে আসামী করে সোমবার রাতে মঠবাড়িয়া থনায় এ হত্যা মামলা দায়ের করে। মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ এঘটনায় আয়শা খানম রোজি (৫০) নামে এক শিক্ষিকা ও শাম্মী আক্তারের বর্তমান স্বামী সিরাজুল সালেকিন (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে। আয়শা খানম রোজি (৫০) কেএম লাতীফ ইনষ্টিটিউশনের শিক্ষিকা ও পাশর্^বর্তী বাগেরহাট জেলার শরনখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা এমাদুল হকের স্ত্রী। সিরাজুল সালেকিন লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের শেখ মোহাম্মদ আলীর ছেলে। নিহত শাম্মী আক্তার শিক্ষিকা আয়শা খানমের ননদ।

থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নারী উদ্যোক্তা শাম্মী আক্তার কেএম লতীফ সুপার মার্কেটে দ্বিতীয় তলায় দশবছর ধরে “শাম্মী বিউটি পার্লার” নামের একটি পার্লারের ব্যবসা করে আসছিল। প্রথম স্বামী ফিরাজ আলম এর সাথে প্রায় ১৩ বছর আগে বিচ্ছেদ হবার পর সেই সংসারের দুই সন্তান নিয়ে মঠবাািড়য়া পৌর শহরের থানা পাড়ায় এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। দুই বছর আগে বিয়ে হওয়া দ্বিতীয় স্বামী সালেকিন ঢাকায় ব্যবসা করেন। ৭ আগস্ট রোববার শাম্মী আক্তার ও সালেকিন এর বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে সালেকিন ওই দিনই সকালে বাসায় আসেন। বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে নিকট আত্মীয় শিক্ষিকা আয়শা খানমও ওই বাসায় আসে। শাম্মী আক্তার স্বামী সালেকিনকে নিয়ে ঘরের পিছনের বারান্দায় ঘুমিয়ে পরে। ভাবী আয়শা খানম মাঝ ঘরে ঘুমায়। শাম্মী আক্তার গভীর রাতে তার স্বামী সালেকিন ও ভাবী আয়শা খানমকে ঘরের মাঝের বিছানায় আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ঝগড়ায় জড়িয়ে পরে। ঝগড়ার একপর্যায় স্বামী সালেকিন আয়শা খানমের সহযোগিতায় মুখে বালিশ চাঁপা দিয়ে শ^াসরোধে হত্যা করে।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। হত্যায় ব্যবহৃত বালিশটি জব্দ করা হয়েছে।  গ্রেপ্তারকৃতদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দুপুরে আদলতে সোপর্দ করা হয়েছে।