• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা-প্রধান বিচারপতি

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৯ আগস্ট ২০২০  

ঢাকা সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়মের বিষয়ে এক বৈঠকে শনিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ নজরে আনলে এমন কথা বলেছেন প্রধান বিচারপতি।

র্ভাচ্যুয়াল বৈঠকে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসন, আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান অংশ নেন।  সংযুক্ত ছিলেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এছাড়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি এএম আমিন উদ্দিন, সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ সমিতির ১৪ জন নেতৃবৃন্দও সংযুক্ত ছিলেন।

বৈঠকে আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের থেকে আদেশের অনুলিপি পেতে বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতির শিকার হচ্ছেন আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী জনগণ।  বিচারপ্রার্থী জনগণকে এর থেকে  বাঁচাতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও আইনজীবী সমিতির সদস্যদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা দরকার।

এসব বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ঢালাও নয়, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিন। দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এজন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ই-ফাইলিং চালু হলে এই সমস্যা অনেকটাই নিরসন হবে।  

পরে এক ফেসবুক বার্তায় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, সুপ্রিম কোর্ট থেকে ঘুষ-দুর্নীতি নির্মুলে বেঞ্চ (আদালত)ও বারের ( আইনজীবী সমিতি) দৃঢ প্রত্যয় ঘোষণা। অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিন, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন প্রধান বিচারপতি। নানা অব্যবস্থাপনা রোধে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের সঙ্গে একযোগে সমন্বিতভাবে কাজ করবে বার সমিতি। সমিতির পক্ষ থেকে অবিলম্বে টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।

‘সভার শুরুতে সমিতির পক্ষ থেকে আমি সম্পাদক হিসেবে আইনজীবীদের নানামুখী সমস্যা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরি এবং এ সকল সমস্যা সমাধানে অবিলম্বে টাস্কফোর্স গঠনসহ বিভিন্ন দাবি জানাই। এর পর সমিতির কার্যকরী কমিটির সকল সদস্য, অ্যাটর্নি জেনারেল, সমিতির সভাপতি, প্রধান বিচারপতিসহ ৬ জন বিচারপতি খোলামেলা আলোচনা করেন। এখন থেকে বেঞ্চ ও বারের মধ্যে এ ধরনের বৈঠক নিয়মিত হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।