• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দলীয় কাউকেও ছাড় দেন না প্রধানমন্ত্রী’

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২০  

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাকর্মীদেরও ছাড় দেন না। অপরাধ করে কেউ ছাড় পাবেন না বলেও জানান তিনি। তাই সবাইকে আচার-আচরণে আরো গ্রহণযোগ্য হওয়ার প্রতি তাগিদ দেন এ নেতা।

মঙ্গলবার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউর সংসদ ভবনের সামনের ফুটপাতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় এমপি পুত্রের কারাগারে যাওয়ার দিকে ইঙ্গিত করে হানিফ বলেন যে, শেখ হাসিনা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কঠোর অবস্থানে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সময়ে তিনি ভাবেন না কে এমপিপুত্র বা কে মন্ত্রীপুত্র। যে কোনো অন্যায় ও  অন্যায়কারীকে কখনই প্রশ্রয় দেন না তিনি।

হানিফ আরো বলেন, শেখ হাসিনা এটাই বোঝাতে চান যে, কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করা হবে।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যারা বিকৃত করছে তাদের কঠিনভাবে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগ আর বিপক্ষের শক্তি বিএনপি-জামায়াত। ১৯৭৫ সালের পরে জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে জাতিকে বিভক্ত করে দিয়েছিলেন। তার মধ্যে বাঙালির চেতনা বা স্বাধীনতার চিন্তা চেতনা ছিল না। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন জিয়া। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি ক্ষমতা দখল করেন এবং এক এক করে মুক্তিযুদ্ধের  চেতনা ধ্বংস করেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিন রাত কঠোর পরিশ্রম করে দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশ থেকে বিভক্তি দূর করা সম্ভব হলে এই উন্নয়ন আরো দ্রুতগতিতে হতে পারত। তাই আমাদের শপথ নিতে হবে, দেশ ও সমাজ থেকে বিভক্তি দূর করার।

হানিফ বলেন, আমাদেরকে আরো শপথ নিতে হবে, এই দেশে জামায়াত যাতে কোনো দিনই রাজনীতি করার সুযোগ না পায়। কারণ তারা পাকিস্তানের অনুসারী। নিজামী, মুজাহিদ ও কাদের মোল্লার ফাঁসির দণ্ডের পর পাকিস্তানের সংসদে তাদের নিয়ে আলোচনা হয়। এতেই বোঝা যায় জামায়াত ও ওই দলের নেতারা আগেও রাজাকার পাকিস্তানি ছিল, এখনো তারা রাজাকার এবং পাকিস্তানিই রয়ে গেছে।

সংগঠনের সভাপতি মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ।