• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

আশ্রয়ন খাত : এক লক্ষ ৬০ হাজার গৃহহীন মানুষকে গৃহ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০১৮  

জেলা-উপজেলা সব স্থানে আশ্রয়ন প্রকল্প গড়ে উঠছে। দেশে আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এক লক্ষ ৬০ হাজার গৃহহীন মানুষকে বসবাসের সুযোগ-সুবিধা করে দেয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে আমাদের দেশে যত গৃহহীন মানুষ রয়েছে তাদের কথা বিবেচনা করে অনেক আশ্রয়ন প্রকল্প গঠিত হয়েছে।

সরকার যে আশ্রয়ন প্রকল্প গঠন করেছেন তার মাধ্যমে সেখানে প্রত্যেক গৃহহীন পরিবার একটি করে ঘর পাবেন। এরই মধ্যে ২১ হাজার ৭৪৫টি পরিবারকে ৩২ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। গৃহহীন পরিবারকে আশ্রয় দেওয়ার পর তাদের চাহিদা মতো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে।

এতে করে সবাই কর্মক্ষম হচ্ছে এর পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারছে, এই ঋণ এর মাধ্যমে তারা বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত হয়ে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারছেন।

এ পর্যন্ত এক হাজার ৮৮১টি প্রকল্প এলাকায় এক লাখ ৬০ হাজার গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৮৩৭টি গ্রামে ব্যারাক নির্মাণ করে এক লাখ ৪৪ হাজার ১২০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এর মধ্যে যাদের জমি আছে কিন্তু ঘর-বাড়ি নেই তাদেরকে ঘর নির্মাণ এর জন্য সহায়তা করা হচ্ছে।

এরকম গৃহ নির্মাণ করে পুনর্বাসনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ১৪২টি। এভাবে অল্প অল্প করে দেশের যত দরিদ্র, অসহায় গৃহহীন মানুষ রয়েছে তাদের মধ্যে থেকে কেউ যেন বাদ না যায় এই লক্ষে চলমান প্রকল্পের একটি আওতায় ২০১৯ সালের মধ্যে আড়াই লক্ষ গৃহহীন পরিবারকে আশ্রয় দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।
ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন, ঋণ প্রদান ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তোলা এবং আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ন প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়। ২০১০ সালে আশ্রয়ন-২ প্রকল্প গঠন করা হয়।

এর আওতায় দরিদ্র গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়া যাদের জমি আছে কিন্তু ঘর নির্মাণের সামর্থ্য নেই তাদের নিজের জমিতে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আরো বেশি ঘর নির্মাণ করা হবে যেন কেউ গৃহহীন ভাবে না থাকে। সরকার এই প্রকল্পে খুব গূরত্বের সাথে দেখছে। তাই এই ক্ষেত্রে সরকার আলাদা বাজেট করেছে।