উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণে ৩০৫৬ কোটি টাকার প্রকল্প
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২০
খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন উপকূলীয় বাঁধগুলো দুর্যোগে আর শতভাগ নিরাপত্তা দিতে পারছে না। প্রথমত এগুলোর উচ্চতা কম। দ্বিতীয়ত চিংড়ি চাষিরা লবণাক্ত পানি প্রবেশ করানোর জন্য বিভিন্নভাবে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় আইলায় খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরাসহ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার বাঁধ পানির তোড়ে ভেসে যায়। প্রায় ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও বাঁধগুলো পুনঃনির্মাণ সংস্কার বা উঁচু করা হয়নি। ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে এসব উপকূলের বাসিন্দারা।
জানা গেছে, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন উপকূলীয় বাঁধগুলোর নকশা ১৯৬০ থেকে ৬৫ সালের। সমতল থেকে বাঁধগুলোর উচ্চতা ১০ ফুট। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সময় ১২ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস ছিল। ফলে বাঁধগুলো শতভাগ পানি আটকাতে পারেনি।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাঁধ পুনঃনির্মাণের প্রয়োজন, অনেক বাঁধ উঁচু করতে হবে। তা না হলে আম্পানের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে আবার বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে উপকূলীয় এলাকা। এজন্য খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটে মোট তিনটা প্রকল্প প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প ফেজ আকারে প্রকল্প তিনটি বাস্তবায়িত হবে সমন্বিতভাবে।
তিনটি প্রকল্পের মোট ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। প্রথম ফেইজে ১২শ’, দ্বিতীয় ফেইজে ৯শ’ ও তৃতীয় ফেইজে ৯৫৬ কোটি টাকা প্রাথমিক ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান মন্টু কুমার ঘোষ বলেন, আম্পানে দুর্বল হয়ে পড়া বাঁধ পুনঃনির্মাণ দরকার। এই জন্য খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটে তিনটা প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্প তৈরির কাজ প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। একটি প্রকল্পের ব্যয় ১২শ’ কোটি টাকা। অপর দুটি ৯০০ ও ৯৫৬ কোটি টাকা। এসব এলাকার মানুষের জানমাল রক্ষা করতেই প্রকল্পগুলো হাতে নেওয়া হচ্ছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, উপকূলের মানুষের দাবি ছিল, টেকসই বেড়িবাঁধ। ২০০৯ সালে আইলার পর ১০ বছরেও তা নির্মিত হয়নি। উপরন্তু, জোড়াতালি দিয়ে বাঁধ সংস্কারে অর্থের অপচয় হচ্ছে।
শ্যামনগর ও আশাশুনির বেড়িবাঁধ এখনও বিধ্বস্ত অবস্থা রয়েছে। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুড়া, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনী, মুন্সীগঞ্জ ও আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর, আনুলিয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ আজও তাদের ভিটায় পা রাখতে পারেনি। সাতক্ষীরা শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাড়াবাড়িতে জীবন যাপন করছেন তারা। এখনও আকাশে মেঘ ডাকলেই কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া ও শাকবাড়ীয়া নদীর তীরবর্তী মানুষরা আঁতকে ওঠেন। পানি একটু বাড়লেই ঘুম বন্ধ হয়ে যায় তাদের। আম্পানে সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে ১২ হাজার ২৫৭টি ঘের ও পুকুর। এতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ১৭৬ কোটি ৩ লাখ টাকা।
১৫১ কিলোমিটার গতিবেগে সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত হানে আম্পান। এ সময় ১২ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস ছিল।
শ্যামনগর, আশাশুনি, কালীগঞ্জ এবং সদর উপজেলায় ক্ষতি বেশি হয়েছে। এসব জায়গার কমবেশি ২০টি বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙেছে অনেক। প্লাবিত হয়েছে চিংড়ি ঘের। মূলত চিংড়ি ঘের এবং আমের ক্ষতি বেশি হয়েছে। যেসব এলাকা ফাঁকা সেসব জায়গায় বেশি ভেঙেছে। আর ঘনবসতি এলাকায় গাছ পড়ে ঘরবাড়ি ভেঙেছে। ৩৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিতে। এ বাঁধগুলোর উচ্চতা ১০ মিটার।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের বলেন, আম্পানে সাড়ে ৩৫ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতির সম্মুখীন। এসব বাঁধ ১৯৬০ থেকে ৬৫ সালের নকশায়। বর্তমানে এসব বাঁধ একেবারেই অকার্যকর। নতুন নকশায় বাঁধ পুনঃনির্মাণ করা হবে। আমরা মন্ত্রণালয়ে চাহিদা পত্র পাঠিয়ছি। বাঁধগুলো ১৫ থেকে ১৬ ফিট উঁচু করার কথা বলেছি। এছাড়া বাঁধগুলোর ওপরে নানা ধরনের গাছ লাগানো হবে।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের জোয়ারের জলোচ্ছ্বাস ও অতিবর্ষণে উপকূলীয় বাগেরহাটে সাড়ে চার হাজারের অধিক মাছের ঘের ভেসে গেছে। এতে মাছ চাষিদের প্রায় তিন কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। মাছের ঘের ভেসে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে জেলার হাজার হাজার চাষি।
জলোচ্ছ্বাসে জেলার রামপাল, মোংলা, বাগেরহাট সদর, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নতুন প্রকল্পের আওতায় বাঁধ পুনঃনির্মাণের পাশাপাশি নদীর তীর সংরক্ষণ করা হবে।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফ হোসেন বলেন, আম্পানে বাগেরহাটে ৪২০ মিটার বাঁধ ভেঙে গেছে। ৬ কিলোমিটার বাঁধ উঁচু করা জরুরি। ৯৫০ মিটার নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ বাকি রয়েছে। এসব কাজ দ্রত বাস্তবায়ন জরুরি অন্যথায় যে কোনো দুর্যোগে বড় ক্ষতি হবে বাগেরহাটে।
- তীব্র গরমে সিল্কসিটি ট্রেনে আগুন
- পলিথিন নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই শুরু হচ্ছে যৌথ অভিযান
- এই গরমে শিরোনামহীনের শীতল সুর!
- টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড গড়ে জিতল পাঞ্জাব
- অগ্রণী ব্যাংকের ১০ কোটি টাকা উধাও, শাখা ব্যবস্থাপকসহ আটক ৩
- গাজা নীতির বিরোধিতা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মুখপাত্রের পদত্যাগ
- শেষ হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা, জাল-নৌকা মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছে জেলেরা
- অক্টোবরে পরীক্ষামূলক চালু হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
- বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে ক্ষমতার জন্য: ওবায়দুল কাদের
- শেরেবাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- শেরেবাংলার মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর
- বিমানে ওঠার আগে বৈদেশিক মুদ্রাসহ আটক ১
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খেলায় হেরে গিয়ে জয় উদযাপনে হামলা, যুবক নিহত
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে
- বাংলাদেশে চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
- থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
- থাইল্যান্ডের রাজা-রানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ
- বাংলাদেশকে ‘সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ দেশ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট
- টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ পণ্যকে জিআই স্বীকৃতি
- দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী
- বান্দার যে কর্মের ফলে বৃষ্টি বন্ধ করে দেন আল্লাহ
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনেকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রচারণা করছেন প্রার্থীরা
- ঈদের রেসিপি কবুতরের রোস্ট
- মঠবাড়িয়ায় সূর্যমুখি চাষে কৃষকদের ব্যপক সাফল্য
- হোয়াটসঅ্যাপে বিভ্রাটের অভিযোগ ব্যবহারকারীদের
- জিয়াউর রহমানের আমলে নারীদের পতিতাবৃত্তি করতে হয়েছে: কাদের
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- লাইলাতুল কদরে কী দোয়া পড়বেন?
- খুলে দেওয়া হলো ৮ ওভারপাস দুই সেতু
- ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সতর্কতা ইউজিসির
- ফিটনেসবিহীন ৪৮৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- মঠবাড়িয়ায় বসত ঘরে আটকে যুবককে উলঙ্গ করে নির্যাতন- আটক ২
- দুনিয়াবি বিপদ-আপদের প্রতিদান
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- ওমরাহ পালনের শেষ সময় ১৫ জিলকদ
- বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে
- ম্যাঙ্গো রাইস
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- পুরোনো স্মার্টফোন ৬ কাজে লাগাতে পারেন