• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

চামড়ার দাম কমিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বিএনপির সিন্ডিকেট চক্র!

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০১৯  

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানিকৃত পশুর চামড়ার দাম কমিয়ে দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত চামড়া ব্যবসায়ী চক্র।
সেই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে সাধারণ চামড়া ব্যবসায়ী ও কোরবানীদাতারা চামড়ার দাম কম পাওয়ায় চামড়া বিক্রি না হওয়ায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে ফেলে রেখে গেছেন। খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা চামড়ার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন স্থানীয়ারা।

জানা গেছে, এ পথে চলাচল করা সাধারণ মানুষ এ অবস্থায় দ্রুত যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। কিন্তু হঠাৎ কেনো চামড়ার ব্যবসায় এমন ধ্বস নামলো, এমন প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে।

এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, কোরবানি পশুর চামড়ার দাম কম হওয়ায় অনেকে চামড়া বিক্রি না করে মাটিতে পুতে রেখেছেন। যার কারণে মাদ্রাসার ছাত্রদের মধ্যে যারা চামড়া সংগ্রহ করেছিলেন তারাও পড়েছেন চরম বিড়ম্বনায়।
কোরবানির পর চামড়া নিয়ে এমন চক্রান্ত হতে পারে, সেই বিষয়টি অনুধাবন করে তাই কোরবানির আগেই চামড়ার একটি নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কারণ সরকার চায়নি ট্যানারি মালিকরা সাধারণ মানুষদের ঠকিয়ে চামড়ার দাম আরো কমিয়ে ফেলুক।

এ বছর ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৪৫ থেকে ৫০ টাকা; ঢাকার বাইরে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। এছাড়া খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং ছাগলের চামড়া ১৩ থেকে ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। গত বছর প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৫০ থেকে ৫৫ টাকা; ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং ছাগলের চামড়া ২০ থেকে ২২ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৫ থেকে ১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক সংবাদ হচ্ছে সরকারের বেঁধে দেয়া দামকে উপেক্ষা করে চামড়া মালিক সমিতি প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ১০ থেকে ২০ টাকা এবং ছাগলের চামড়া প্রতি বর্গফুটে ৫ টাকায় নামিয়ে আনে।
কথা হচ্ছে সরকারের বেঁধে দেয়া দামকে ভেঙে সাধারণ মানুষকে ঠকানোর চক্রান্ত করা হলো কেন?

এ বিষয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে জানা যায়, বিএনপিপন্থী চামড়া মালিক সমিতির কিছু চক্র শুধু মাত্র সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্যই এমন সিন্ডিকেট তৈরি করেছিলো।

এই বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের এক সদস্য বলেন, চামড়া শিল্প বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। এ শিল্পকে ধ্বংস করার পায়তারা করছে বিএনপি সমর্থিত কতিপয় ব্যবসায়ী। যার অন্যতম হচ্ছেন পারটেক্স গ্রুপের কর্ণধার জনাব এম এ হাশেম। তার একক আধিপত্যের কারণে চামড়া ব্যবসা আজ ধ্বংসের মুখে। তিনি সহ আরো কিছু বিএনপি সমর্থিত চামড়া ব্যবসায়ী একটি সিন্ডিকেট বানিয়ে সরকারের বেঁধে দেয়া দামকে উপেক্ষা করে সাধারণ গরীব দুঃখীর ওপর এই অত্যাচার চালান। যা খুবই দুঃখজনক।

এ প্রসঙ্গে রাজধানীর চামড়া আড়ৎদার শহীদ খান বলেন, সরকার যে দাম বেঁধে দিয়েছে সেই দাম দিলেই চলবে। দামে সমস্যা হবে না। দুঃখের কথা হচ্ছে এবার তো ট্যানারি মালিকরাই আসছেন না। আমাদের আরো লোকসান হবে যদি না নগদ টাকা হাতে পাই। সরকারের বিপক্ষে গিয়ে বিএনপি সমর্থিত একটি গোষ্ঠী চামড়া ব্যবসাকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে। যা মেনে নেয়া যায় না। প্রতিহিংসার বলি যদি গরীব দুঃখী হয় তবে বিএনপির রাজনীতি করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে হয় না।