• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

জাপানের ‘বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন হাবিপ্রবির শিক্ষক

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২১  

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষক ড. হাসানুর রহমান জাপানের ‘বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড- ২০২১’ পেয়েছেন। প্ল্যান্ট সাইন্সের অগ্রগতিতে বিশেষ অবদানের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনি।  

প্ল্যান্ট ও সেল ফিজিওলজি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা পত্রটির জন্য ‘দি জাপানিজ সোসাইটি অব প্ল্যান্ট ফিজিওলস্টি’ তাকে এই অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করে। 

উক্ত গবেষণা পত্রের মুল বিষয়বস্তু ছিলো- উদ্ভিদের ভ্রুণ উৎপাদনে প্যারেন্টাল জিনের অবদান। কোষ লেভেলে প্যারেন্টাল জিনের অবদান নিয়ে প্রথম গবেষণা যা উদ্ভিদের ডেভেলপমেন্ট, উৎপাদন বৃদ্ধি, রোগ নিরূপণ এবং প্রজননের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে।     

এদিকে, দি জাপানিজ সোসাইটি অব প্ল্যান্ট ফিজিওলজিস্ট তাদের অফিসিয়াল পেজ থেকে জানায়  এই অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার সম্মানী হিসেবে একটি সনদপত্র ও দুই লাখ জাপানিজ ইয়েন প্রদান করবে। জাপানে প্রতিবছর প্ল্যান্ট সেল ও ফিজিওলজির বেস্ট গবেষণা পত্রকে তারা এই সম্মাননা প্রদান করে আসছে। 

ড. হাসানুর  রহমান বর্তমানে হাবিপ্রবির উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।   তিনি জাপানের টোকিও মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ড. তাকাসী ওকামোতোর অধীনে ২০১৯ সালে সফলভাবে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড মনোনীত হওয়ার পর ড. রহমানের কাছে তার অনুভূতি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি দি জাপানিজ সোসাইটি অব প্ল্যান্ট ফিজিওলজিস্ট ও প্রফেসর ড. ওকামোতোর প্রতি। এই পুরষ্কারটি আগামীতে আমার আরো ভালো গবেষণা করতে আনুপ্রানিত করবে। 

তিনি গবেষণার পরিকল্পনার ব্যাপারে জানান, বর্তমানে নিরাপদ ও টেকসই খাদ্য উৎপাদন নিয়ে কাজ করছি। এছাড়াও আইভিএফ পদ্ধতিতে জিন শনাক্ত ও কার্যকারিতা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বন্যা/খরা সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন বিষয়ে গবেষণা করার ইচ্ছা রয়েছে।   
 
প্লান্ট সেল ও ফিজিওলজি জার্নালে উক্ত গবেষণা পত্রটি ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয়। যা যাচাই-বাছাই শেষে ২০২১ সালে এসে বেস্ট অ্যাওয়ার্ড হিসেবে মনোনীত হয়। 

উল্লেখ্য যে, দি জাপানিজ সোসাইটি অব প্ল্যান্ট ফিজিওলজিস্ট জাপানের বৃহত্তর উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের সংগঠন। সংগঠনটি ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।