টুঙ্গিপাড়াকে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০১৯
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থীর ভিড় লেগেই থাকে। সমাধি ঘিরে পর্যটনের জন্য রয়েছে অপার সম্ভাবনা। শিগগিরই টুঙ্গিপাড়ায় আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পর্যটন মন্ত্রণালয়।
মধুমতি নদীর তীরে অবস্থিত টুঙ্গিপাড়া। আপনি এখানে এলে বাংলার রূপকে স্বচক্ষে দেখতে পারেন। টুঙ্গিপাড়ার গাঁয়ের মেঠো পথের পারে চোখে পড়বে বিল-ঝিল। আর সেখানে ফুটে রয়েছে কত না পদ্ম-শাপলা। টগর-কামিনী ফুলের গন্ধেও উন্মাদ হতে হয় তখন।
এখানে ঘুমিয়ে আছেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ২০০১ সালের ১০ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে সমাধিসৌধ উদ্বোধন করেন। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা বয়সী দর্শনার্থীরা এখানে এসে শ্রদ্ধা জানান।
এখানে ঢুকতেই পাথরের গায়ে লেখা রয়েছে-
"দাঁড়াও পথিক বর যথার্থ বাঙালি যদি তুমি হও,
ক্ষণিক দাঁড়িয়ে যাও, এই সমাধিস্থলে
এখানে শুয়ে আছেন, বাঙালি জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা"
টুঙ্গিপাড়া গিয়েই বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্বের গন্ধ টের পাবেন। তার বাড়ির অঙ্গিনায় দাঁড়িয়ে মনে হবে, এই পথ ধরেই বঙ্গবন্ধু একদিন হেঁটেছিলেন।
গেটের নিরাপত্তাবলয় পার হয়ে ভেতরে ঢুকতে চোখে পড়বে দুই পাশের লাল সিরামিক ইটের চমৎকার মসজিদ ও পাঠাগার কমপ্লেক্স। এসব স্থাপনা পেরিয়ে সোজা কিছুদূর এগোতেই দেখা মিলবে সাদা পাথরে নির্মিত গোলাকার এক গম্বুজবিশিষ্ট স্থাপনা। এর ভেতরেই রেলিং দিয়ে ঘেরা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর বাবা-মায়ের কবর।
দেয়াল ও ছাদ ধরে আলো প্রবেশের চমৎকার ব্যবস্থাপনা ভেতরের পরিবেশকে আরো ভাবগম্ভীর ও সৌম্য করে তুলেছে। সমাধিসৌধের একটু আগে বাঁ পাশে রয়েছে শেখ পরিবারের বড় তালাব বা বড় পুকুর।
সমাধিসৌধের পাশেই হলুদ রঙের শেখ পরিবারের বাড়ি। দেয়ালে টানানো রয়েছে বঙ্গবন্ধুর চমৎকার প্রতিকৃতি। কমপ্লেক্সের ২ নম্বর গেট থেকে বেরিয়ে ডান দিকে গেলেই চোখে পড়বে ধ্বংসস্তূপপ্রায় শেখ পরিবারের আদিবাড়ি। বাড়ির রাস্তা ফেলে আরেকটু সামনে ডানদিকে ডোবার পাশে হিজলতলা নামে একটি সাইনবোর্ড লক্ষণীয় যেখানে বঙ্গবন্ধু গোসল করতেন বলে জানা যায়।
শিক্ষা সফরে আসা শিক্ষার্থীরা, মহানায়কের সমাধি সৌধে এসে জানায় তাদের উচ্ছাসের কথা।বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর, সংগ্রহশালা দেখে অনেক বিষয়ে জানতে পারছেন তারা। কমপ্লেক্সের পাশে আছে শেখ রাসেল শিশুপার্ক। শির্ক্ষাথী-দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখরিত থাকে পার্কটি।
সমাধিসৌধের প্রদর্শনী গ্যালারি ঘুরে দেখতে পাবেন বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন সময়ের ছবি। রয়েছে একটি পাঠাগারও।পাঠাগারে রয়েছে অনেক বই। পাঠাগারের পাশেই দর্শক গ্যালারিসহ একটি উন্মুক্ত মঞ্চ রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা যায়। গ্যালারি থেকে কিছু দূরে বঙ্গবন্ধুর সমাধি। চমৎকার স্থাপত্য দিয়ে সমাধিকে আবৃত করে রাখা হয়েছে। সমাধির কাছে সবার যাওয়ার অনুমতি থাকলেও ছবি তোলা নিষেধ।
শুধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স নয়, এর আশপাশের এলাকায় অনেক কিছুই দেখার রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদি পৈতৃক বাড়ি, ছেলেবেলার খেলার মাঠ, বঙ্গবন্ধুর স্কুল, বঙ্গবন্ধুর প্রিয় বালিশা আমগাছ, শেখ বাড়ি জামে মসজিদ (স্থাপিত হয়েছে ১৮৫৪ সালে) ইত্যাদি। আছে হিজলতলা ঘাট, যেখানে বঙ্গবন্ধু ছোটবেলায় গোসল করতেন। দেখা মিলবে শেখ পরিবারের ঐতিহ্যবাহী একটি বড় ও একটি ছোট আকারের পুকুর এবং বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সের পাশেই টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার উদ্যোগে নির্মাণ করা হয়েছে শেখ রাসেল শিশুপার্ক।
সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স ও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য নানা স্থাপনা ঘুরেফিরে আসার সময় কবিতার সেই পঙক্তিগুলো মনে হয় বারবার।
"যতদিন রবে পদ্মা যমুনা
গৌরী মেঘনা বহমান,
ততকাল রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবুর রহমান..."
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সারাসরি বাসে টুঙ্গিপাড়া যাওয়া যায়। বাসের রয়েছে দুটি রুট। একটি গাবতলী থেকে পাটুরিয়া হয়ে, অপরটি গুলিস্তান থেকে মাওয়া ঘাট পাড় হয়ে। গাবতলী থেকে টুঙ্গিপাড়ার দূরত্ব ২৪০ কিলোমিটার। গোল্ডেন লাইন, সেবা গ্রিন লাইন, কমফোর্ট লাইন নামের বাসে টুঙ্গিপাড়া যেতে সময় লাগে সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা। প্রতি আধা ঘণ্টা পরপর বাস পাওয়া যায়। ভাড়া জনপ্রতি ৩৫০ টাকা
গুলিস্তান থেকে টুঙ্গিপাড়ার দূরত্ব ১৬০ কিলোমিটার। এ পথে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস, দোলা, ইমাদ ও মধুমতী পরিবহনের বাসে চড়ে টুঙ্গিপাড়া যাওয়া যায়। প্রতি আধা ঘণ্টা পরপর বাস পাওয়া যাবে। ভাড়া প্রতিজন ৩০০ টাকা।
কোথায় থাকবেন
টুঙ্গিপাড়ার উপজেলা পরিষদের পাশে মধুমতী নামে পর্যটনের একটি মোটেল আছে। এখানে থাকার ব্যবস্থা আছে। রুমের ভাড়া নন-এসি ৭০০ টাকা ও এসি এক হাজার ৫০০ টাকা। রাতযাপনের জন্য গোপালগঞ্জ শহরেও আছে বেশ কটি আবাসিক হোটেল। রুমের ভাড়া ৫০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকার মধ্যে।
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনেকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রচারণা করছেন প্রার্থীরা
- মঠবাড়িয়ায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত
- ঈদের রেসিপি কবুতরের রোস্ট
- মঠবাড়িয়ায় সূর্যমুখি চাষে কৃষকদের ব্যপক সাফল্য
- হোয়াটসঅ্যাপে বিভ্রাটের অভিযোগ ব্যবহারকারীদের
- জিয়াউর রহমানের আমলে নারীদের পতিতাবৃত্তি করতে হয়েছে: কাদের
- লাইলাতুল কদরে কী দোয়া পড়বেন?
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সতর্কতা ইউজিসির
- খুলে দেওয়া হলো ৮ ওভারপাস দুই সেতু
- ফিটনেসবিহীন ৪৮৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- দুনিয়াবি বিপদ-আপদের প্রতিদান
- মঠবাড়িয়ায় বসত ঘরে আটকে যুবককে উলঙ্গ করে নির্যাতন- আটক ২
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- ওমরাহ পালনের শেষ সময় ১৫ জিলকদ
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের নতুন তালিকা প্রকাশ করলো ফোর্বস
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?