• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

দীর্ঘদিনের প্রত্যশা পূরণ নেছারাবাদের আড়াই লাখ মানুষের

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০১৯  

পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুর-১ আসনে এমপি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণলয়ের মন্ত্রী এ্যাডঃ শ ম রেজাউল করিম জাতীয় নির্বাচনীয় প্রচারনার ২১টি প্রতিশ্রুতির মধ্যে নেছারাবাদের স্বরুপকাঠি, ইন্দেুরহাট ও মিয়ারহাট বন্দর পারাপারে সন্ধ্যা নদীতে ১টি ফেরী ছিল প্রতিশ্রুতি অন্যতম। এমপি থেকে মন্ত্রী হওয়ার ৭ মাসের মধ্যেই তার স্ব-চেষ্ঠায় প্রতিশ্রুতির ৩টি পূরণ হলেও আড়াই লাখ গণমানুষের দাবী নদী ও সড়ক পথে যানবাহন পারাপারে ফেরীটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রীর জোরালো সুপারীশে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর গত ১৯ আগষ্ট সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নেছারাবাদের সন্ধ্যা নদীতে ফেরীটি অনুমোদন দিয়েছেন। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের পিরোজপুর সড়ক বিভাগাধীন হুলারহাট-শ্রীরামকাঠি-স্বরুপকাঠি জেলা-উপজেলা মহাসড়কের ২৬তম কিলোমিটারে ইন্দেরহাট হতে নেছারাবাদ (স্বরুপকাঠি) পর্যন্ত সন্ধ্যা নদীর উপর সড়ক ও জনপথের অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর উপসচিব ফাহমিদা হক খান উক্ত দপ্তরের স্বারক -৭১৮ নং প্রঃ প্রঃ স্বাক্ষরীত একটি নতুন ফেরী ও ফেরীঘাট স্থাপনের নিমিত্তে প্রশাসনিক ভাবে এ অনুমোদন দেন। দীর্ঘদিনের এ প্রত্যশা পূরণ হতে যাওয়া আনন্দ উৎসবে মূখরিত পিরোজপুরের নেছারাবাদের আড়াই লাখ মানুষ। ১৯৮৬ সালে এরশাদ সরকার আমলে প্রথম সন্ধ্যা নদীতে ফেরী চালু হলেও ১৯৯৩ সালে বিএনপি সরকার এ ফেরীটি রহস্য জনক কারণে বন্ধ করে দেন। তখনকার সময় এ অঞ্চলে এমপি, মন্ত্রীরা আসলে মাঝে-মধ্যে ফেরীটি চালু হলেও ১৯৯৪ সালে ফেরীটি ব্যবহারের অযোগ্য দেখিয়ে সন্ধ্যা নদীর পূর্বপাড়ে ফেলে রাখায় হয়। দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় সরকারের কোটি টাকার এ ফেরীঘাটটি মরিছা ধরে নষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘ ২৫ বছরে ফেরীটি চালু না হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঝড়-তুফানে জীবনের ঝুকি নিয়ে চরমভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সন্ধ্যা নদীর দুই পাড়ের স্কুল-কলেজের হাজারও শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের। ট্রলার যোগে নদী পারাপারে গত তিন বছরে সন্ধ্যা নদীতে ট্রালার ও নৌকা ডুবিতে প্রায় ১৬ জন নারী-পুরুষ ও শিশু মারা গেছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়। এ ছাড়াও বিশেষ প্রয়োজনে সড়ক পথের যানবাহন পারাপারে পার্শবর্তী উপজেলা বানারীপাড়ার প্রায় ১৩ কিলোমিটার ঘুরে সন্ধ্যা নদীর পশ্চিম পাড় মিয়ার হাট-ইন্দেুর হাট বন্দের আসতে হয়। নদীর পূর্বপাড়ে অফিস আদালত ও হাসপাতাল থাকায় অনেক ঝড়-তুফানে পশ্চিম পাড়ের মানুষ মূমূর্ষ রোগী নিয়ে ট্রালার যোগে হাসপাতালে যেতে না পারায় অনেক রোগীর মৃত্যুর হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।