বজ্রপাত থেকে যেভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০১৯
এপ্রিল, মে-জুন এই মাস গুলোতে বৃষ্টিপাত বেড়ে যায়।তার সাথে সাথে বাড়ে বজ্রপাত।ব্জ্রপাতের কারণে মৃত্যু হয় মানুশষের।সম্প্রতিকালে পূর্বের তুলনায় বজ্রপাতে মৃতুহার অনেক বেড়ে গিয়েছে।তার কারণ হচ্ছে অনেক বেশি পরিমাণে বজ্রপাত হওয়া।
★বজ্রপাত কী?
বায়ুমন্ডলের উপরের অংশে নীচের তুলনায় তাপমাত্রা কম থাকে। এ কারনে অনেক সময় দেখা যায় যে, নীচের দিক থেকে উপরের দিকে মেঘের প্রবাহ হয়। এ ধরনের মেঘকে থান্ডার ক্লাউড (Thunder Clouds) বলে। অন্যান্য মেঘের মত এ মেঘেও ছোট ছোট পানির কনা থাকে। আর উপরে উঠতে উঠতে পানির পরিমান বৃদ্ধি পেতে থাকে। এ ভাবে বৃদ্ধি পেতে পেতে পানির পরিমান যখন ৫ মিঃমিঃ এর বেশী হয়, তখন পানির অণুগুলো আর পারস্পারিক বন্ধন ধরে রাখতে পাড়ে না। তখন এরা আলাদা (Disintegrate) হয়ে যায়। ফলে সেখানে বৈদ্যুতিক আধানের (Electric Charge) এর সৃষ্টি হয়। আর এ আধানের মান নিচের অংশের চেয়ে বেশী হয়। এরকম বিভব পার্থক্যের (Potential difference) কারনেই ওপর হতে নিচের দিকে বৈদ্যুতিক আধানের নির্গমন (Transmission) হয়। এ সময় আমরা আলোর ঝলকানি (Lightning) দেখতে পাই।
আর ক্রিয়ার সময় উক্ত এলাকার বাতাসের প্রসারন (Expansion) এবং সংকোচনের (Contraction) ফলে আমরা বিকট শব্দ শুনতে পাই। এ ধরনের বৈদ্যুতিক আধানের নির্গমন দুটি মেঘের মধ্যে অথবা একটি মেঘ এবং ভূমির মধ্যেও হতে পারে।
★বজ্রপাত বেড়ে যাবার কারণঃ
*বায়ুমন্ডলের নীচের অংশে ওজন(গ্যাস) এর পরিমান দিন দিন বেড়ে চলছে।যার ফলে বজ্রপাত আরো বেশি হচ্ছে।
*বনায়ন না করে উল্টো বড় বড় গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে এজন্য, বসত বাড়ির উপরে বজ্রপাত বেড়ে প্রাণহানি বাড়ছে।
★বজ্রপাতে কেউ আক্রান্ত হলে করণীয়ঃ
কোনো ব্যক্তি আক্রান্ত হলে,সাথে সাথে তাকে ধরা থেকে বিরত থাকুন। আগে বজ্রপাত শেষ হয়েছে কিনা লক্ষ করুন।
তারপর পরীক্ষা করুণ তার শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে কিনা।
**যদি শ্বাস প্রশ্বাস চলে তবে তাকে দ্রুত হাস্পাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করুন।বজ্রপাতের চিকিৎসা অপ্রতুল।বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপজেলা পর্যায়ে বার্ন বা ইলেক্ট্রিক শক এর চিকিৎসা দেয়া হয়। ওষুধ এবং যন্ত্রপাতির অভাবে।
**যদি শ্বাস প্রশ্বাস না থাকে। তবে সিপিআর দিতে দিতে নিকটস্থ হাসপাতালে নিতে হবে।
সিপিয়ার কীভাবে দিবেন তা সবার জানা উচিত
যে কোনো মানুষ সিপিআর দিতে পারেন, যদি আগে থেকে ধারণা নিয়ে থাকেন। সবার উচিত সিপিআর সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখা।
প্রথমত যদি কফ-রক্ত বা অন্য কোনো কিছু শ্বাস নালীর পথে আটকে থাকে, তবে তা সরিয়ে শ্বাস নেয়ার পথ করে দিতে হবে এবং সিপিআর প্রয়োগ শুরু করতে হবে।
তারপর,ব্যক্তির এক পাশে এসে বুক বরাবর বসে এক হাতের তালুকে বুকের মাঝ বরাবর স্থাপন করতে হবে। তার ওপর অপর হাত স্থাপন করে ওপরের হাতের আঙুল দিয়ে নিচের হাতকে আঁকড়ে ধরতে হবে। হাতের কনুই ভাঁজ না করে সোজাভাবে বুকের ওপর চাপ দিতে হবে।
এমন গতিতে চাপ প্রয়োগ করতে হবে যেন প্রতি মিনিটে ১০০-১২০টি চাপ প্রয়োগ করা যায়। এভাবে প্রতি ৩০টি চাপ প্রয়োগের পর আক্রান্তের মুখে মুখ রেখে দুবার ফুঁ দিতে হবে।
এমনভাবে চাপ প্রয়োগ করতে হবে যেন বুকের পাঁজর ২ থেকে ২.৫ ইঞ্চি নিচে নামে। যাতে চাপ হৃৎপিণ্ডের ওপর চাপ পড়ে।
হাসপাতালে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত বা জ্ঞান ফিরে আসা অথবা স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস চালু হওয়া পর্যন্ত একইভাবে সিপিআর চালিয়ে যেতে হবে।
জ্ঞান ফিরলে বা শ্বাস-প্রশ্বাস চালু হলে তাকে রিকভারি পজিশনে (একপাশে কাত করে) শুইয়ে দিতে হবে। এর পর হাসপাতালে নিয়ে পরবর্তী চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
★প্রতিরোধঃ
বজ্রপাতে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা যেহেতু বাংলাদেশে অপ্রতুল তাই, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গুলো ভালোভাবে জেনে রাখতে হবে।
১.বজ্রপাতের সময় উচু গাছের নীচে দাড়াবেন নাঃকোথাও বজ্রপাত হলে উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এসব স্থানে আশ্রয় নেবেন না। খোলা স্থানে বিচ্ছিন্ন একটি যাত্রী ছাউনি, তালগাছ বা বড় গাছ ইত্যাদিতে বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি থাকে।
২.দালান বা পাকা ভবনের নীচে আশ্রয় নেবে বজ্রপাতের সময়
৩.ঘরের ভেতরে থাকলে জানলা, রড এর কোনো বস্তু, ফোন ব্যবহার এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে
৪.গাড়ির ভেতরে থাকলে গাড়ি থামিয়ে নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে।তবে কোনো বিদ্যুৎ এর খুটি বা বড় গাছের নীচে দাঁড়ানো যাবে না।
৫.খোলা মাঠে থাকলে নীচে হয়ে উপুড় হয়ে থাকুন। বজ্রপাত যে মৌসুমে হয় অই মৌসুমে মাঠে কাজ করার সময় রাবারের জুতা ব্যবহার করুন।
৬.পানি থেকে দূরে থাকুনঃ
বজ্রপাতের সময় আপনি যদি ছোট কোনো পুকুরে সাঁতার কাটেন বা জলাবদ্ধ স্থানে থাকেন তাহলে সেখান থেকে সরে পড়ুন। পানি খুব ভালো বিদ্যুৎ পরিবাহী।
৭.বজ্রপাতের সময় পরস্পর থেকে দূরে থাকুনঃকয়েকজন মিলে খোলা কোনো স্থানে থাকাকালীন যদি বজ্রপাত শুরু হয় তাহলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে সরে যান। কোনো বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে যান।
৮.বাড়ি সুরক্ষিত করুনঃ
আপনার বাড়িকে বজ্রপাত থেকে নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। এজন্য আর্থিং সংযুক্ত রড বাড়িতে স্থাপন করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ নিতে হবে। ভুলভাবে স্থাপিত রড বজ্রপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে।
বজ্রপাতের ধর্ম হচ্ছে এটি অপেক্ষাকৃত উচু পরিবাহির মাধ্যমে মাটিতে নেমে আসে।এবং এই পথের মাঝে যদি আপনি পড়ে যান তবে আপনি মৃত্যু বরণ করবেন।তাই আপনি যেখানেই থাকবেন না ক্যানো উপরোক্ত সতর্কতা গুলো মেনে চলবেন।
- ইস্টার্ন প্লাজায় আইফোনসহ নামিদামি ব্রান্ডের নকল মোবাইল!
- শিশুকে আটকে রেখে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন
- গ্রাহকের ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও পোস্টমাস্টার!
- বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই : ওবায়দুল কাদের
- তানভীর-জেসমিনসহ ১৮ জনের মামলার রায় আজ
- স্ত্রী হত্যার ১৪ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্বামী গ্রেফতার
- দুর্নীতি অভিযোগে বিআরটিসির ৩৭কর্মকর্তা-কর্মচারীর অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ
- মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে বসতঘরে আগুন
- ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১১ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা
- বাজারে অর্ধেকে নামল পেঁয়াজের দাম
- ২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউতে জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে পাশে আছি: প্রধানমন্ত্রী
- জনসমর্থন থাকায় আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব
- বাংলাদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছে যুক্তরাষ্ট্র
- চীনে ৯ বছরে প্রথমবারের মতো বিয়ের সংখ্যা বেড়েছে
- সুইডেনের বিপক্ষে পর্তুগাল দলে জায়গা হয়নি রোনালদোর
- ঈদের পরে কারওয়ান বাজারের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে
- খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ
- আয়ারল্যান্ডকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দেবে বাংলাদেশ
- অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সোমালি পুলিশ-আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী
- সারাদেশে ১৩৭ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ভোক্তা অধিদপ্তরের
- পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি
- বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরের মরদেহ হস্তান্তর
- সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চাকরি
- মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস আজ
- বাড়ির সামনে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদককে কুপিয়ে হত্যা
- ৪ অঞ্চলে ঝড়ো বৃষ্টির আভাস
- ‘সরলতার প্রতিমা’ খ্যাত গায়ক খালিদ আর নেই
- রোহিঙ্গাদের জন্য বৃহত্তর তহবিল সংগ্রহে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
- ভোরে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা, ২০ ফিলিস্তিনি নিহত
- মঠবাড়িয়ায় ইমরান গাজী হত্যা মামলার ৪ আসামী কারাগরে
- মঠবাড়িয়ায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরীর দায়ে ১ জনের জরিমানা
- মঠবাড়িয়ায় অবৈধ ইট ভাটায় এক লাখ টাকা জরিমানা
- মঠবাড়িয়ায় ইমরান গাজী হত্যা মামলায় ৬ আসামি কারাগারে
- মঠবাড়িয়ায় পুলিশের হাতে পলাতক দুর্ধর্ষ ডাকাত কালাম গ্রেপ্তার
- মঠবাড়িয়ায় অবৈধ করাত কল স্থাপণ করায় ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা
- মঠবাড়িয়ায় পূর্নবাসনের লক্ষ্যে জেলেদের মাঝে গরু বিতরণ
- মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন দুই প্রার্থী
- মঠবাড়িয়ায় ১৩ জন অসুস্থ রোগীদের মাঝে চেক বিতরণ
- মঠবাড়িয়ায় ৪ টি জাতীয় দিবস পালনের প্রস্তুতি সভা
- মঠবাড়িয়ায় স্থানীয় সরকার দিবস উদযাপিত
- মঠবাড়িয়ায় অবৈধ করাত কল ও ইট ভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা
- দুই সিটি, ছয় পৌরসহ দুই শতাধিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
- চলতি মাসে সম্পন্ন হচ্ছে পিরোজপুরে ২৫০ শয্যার হাসপাতালের কাজ
- মঠবাড়িয়ায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপিত
- মঠবাড়িয়ায় জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত
- ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
- বাড়িতে গ্যাস লিকেজ হয়েছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- আট লেনে উন্নীত হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
- মঠবাড়িয়ায় পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার- ৫