• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

বিসিএসে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে রুল

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০১৯  

৩৬তম বিসিএসের দ্বিতীয় শ্রেণির (নন-ক্যাডার) হিসেবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার বা দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে সুপারিশ করতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

৭৪ জনের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
 
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম ও মো. সোহরাওয়ার্দী সাদ্দাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
 
পরে আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, ৩৬তম বিসিএসের দ্বিতীয় শ্রেণির (নন-ক্যাডার) হিসেবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার বা দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে সুপারিশ না করার নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং দ্বিতীয় শ্রেণির যে কোনো গেজেটেড পদে বা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার পদে কেন সুপারিশ করা হবে না তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
 
পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সাতজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
 
আইনজীবী ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া বলেন, রিট আবেদনকারীরা ৩৬তম বিসিএসে অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হন এবং নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। কিন্তু নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা, ২০১০ (সংশোধনী ২০১৪) এর বিধান অনুসারে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেওয়ার বিধান রয়েছে। 

কিন্তু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির হলেও গেজেটেড পদ নয়। অন্যদিকে ৩৬তম বিসিএস  (নন-ক্যাডার) হিসেবে অন্য প্রার্থীরা দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। কিন্তু রিটকারীদের ননগেজেটেড পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যা সমান অধিকারের পরিপন্থি। তাই মো. মাহবুব-উল-আলম, মিজানুর রহমান, জাকিরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, আক্তারুজ্জামান, শামীম হোসেন, মাহমুদা আক্তারসহ ৭৪ জন হাইকোর্টে রিট করেন।