• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

বিয়ের লোভ দেখিয়ে ধরা হলো পলাতক আসামিকে

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০১৯  


মাথায় ১৬টি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা, ধরিয়ে দিলে ছিল পুরস্কারের ঘোষণাও, তবু কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছিল না চতুর এক আসামিকে। একসময় জানা যায়, বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছেন তিনি। এই সুযোগে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা ছদ্মনামে ফোন করে খাতির জমান তার সঙ্গে। সম্পর্ক গাঢ় হলে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি, ঠিক হয় বিয়ের দিনক্ষণও। তবে সেদিন বিয়েবাড়িতে নয়, ওই ব্যক্তির ঠাঁই হয় কারাগারে। পুলিশের পাতানো বিয়ের ফাঁদে পা দিয়ে অবশেষে ধরা পড়েন অতিচালাক ওই আসামি।


সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্য প্রদেশের ছতরপুরে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, বলকিশান চউবের বাড়ি উত্তর প্রদেশের মাহোবা জেলায়। গত আগস্টে তিনি মধ্য প্রদেশের নাওগায় এক ব্যক্তিকে খুন করে পালিয়ে যান। পুলিশ তাকে দীর্ঘদিন থেকেই গ্রেফতারের চেষ্টা করছে, তবে প্রতিবারই তিনি অত্যন্ত চালাকির সঙ্গে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

ছতরপুর পুলিশের কর্মকর্তা এসএস বাঘেল জানান, পুলিশ জানতে পারে বলকিশান বিয়ে করার জন্য পাত্রী খুঁজছেন। সে কারণে এক নারী কর্মকর্তাকে দিয়ে প্রেমের ফাঁদ পাতেন তারা। 

দিল্লিবাসী এক নারীর নামে নকল সিমকার্ড তুলে আসামি বলকিশানের কাছে ফোন করেন এক নারী পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই)। তিনি এমনভাবে কথা বলেন যেন ওই ব্যক্তি ভাবেন, রং নাম্বারে কল চলে গেছে।

বলকিশান ওই নারীর নাম-ঠিকানা জানতে চান, পরে সেগুলো পরীক্ষাও করে দেখেন। তিনি ওই নারীর কাছে আবার ফোন করেন ও কথাবার্তা চালিয়ে যান। সম্পর্ক কিছুটা গভীর হলে এক সপ্তাহ পর প্রেমিকারূপী ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলকিশানকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।

সিদ্ধান্ত হয়, বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) তারা বিজৌরি গ্রামের একটি মন্দিরে দেখা করে বিয়ের প্রাথমিক পর্ব সারবেন।
নির্ধারিত দিনে সাদা পোশাকে ওই নারী কর্মকর্তা অন্য পুলিশ সদস্যদের নিয়ে মন্দিরে যান। বলকিশান সেখানে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই হাতে হাতকড়া পরিয়ে দেন তারা। 
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) আদালতে হাজিরের পর বলকিশান চউবেকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।