• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

মঠবাড়িয়ায় পথদুর্ঘটনা এড়াতে সড়কে গর্ত ভরাট করলো পুলিশ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৯  

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শহরের প্রাণ কেন্দ্রের প্রধান একটি সড়কের খানাখন্দ ভরাটের কাজ করেছে পুলিশ। পথদুর্ঘটনা রোধে মঠবাড়িয়া থানায় কর্মরত দুই পুলিশ সদস্য কোদাল ও ঝুড়ি নিয়ে ইট বালু দিয়ে সড়কে খানা খন্দ ভরাট করেছেন। পুলিশের এমন স্বেচ্ছা শ্রমে সামাজিক উদ্যোগে স্থানীয়রাও উদ্বুদ্ধ হয়ে হাত বাড়িয়ে সহযোগিতা করেছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে রাস্তা মেরামতের এ কাজ করে জনমনে ব্যাপক আলোচনায় আসেন দুই পুলিশ সদস্য ।
জানা গেছে, চরখালী- পাথরঘাটা মহাসড়ক প্রশস্থকরণের কাজ চলমান থকায় পৌরসভার মধ্যেকার  সওজের দুই কিলোমিটার সড়ক চলতি বৃস্টি মৌসুমে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ সৃষ্টি হয়ে ওই সড়কটিতে খানাখন্দের সুষ্টি হয়। এতে শহরের বাস ষ্ট্যান্ড সংলগ্ন সড়কে একটি ট্রাক গর্তে আটকে যায়। পরে বুধবার দুপুরে মঠবাড়িয়া থানায় কর্মরত উপ-পরিদর্শক মো. মানিক ও সুমন নামে এক পুলিশ সদস্য মিলে নিজেরা ঝুড়ি কোদাল সংগ্রহ করে তাৎক্ষণিক বালু ও খোয়া দিয়ে গর্ত ভরাট করেন। এতে গর্তে আটকে থাকা ট্রাকটি সচল হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এসময় তাঁরা সড়কের আরও বেশ কিছু বড় খানাখন্দ স্থানীয় মানুষদের সাথে নিয়ে ভরাট করেন।

ওই সড়কের পথচারী বশির আহম্মেদ জানান, সড়কটি সংস্কারের কারণে বৃষ্টির পানিতে খানা খন্দে পরিনত হয়। তবে দুই পুলিশ সদস্য মিলে কিছু খানা কন্দ ভরাট করেছে যা খুবই প্রশংসনীয়

থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মানিক বলেন, প্রধান এই রাস্তাটি সংস্কারের কাজ চলায় গর্তে গাড়ি আটকে  যানচলাচলে বিঘ্নিত হচ্ছিল। জনগণের দুর্ভোগ রোধে বড় খানাখন্দ কিছুটা ভরাট করার চেস্টা করেছি।

মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, পুলিশ জনগনের বন্ধু অপরাধ দমনের পাশাপাশি পুলিশকে নানা সামিজক কাজে অংশ নিতে হয়। সমাজের সকল মানুষকে সেচ্ছা শ্রমে সমাজিক উদ্যোগ মূলক কাজ করতে পারলে সমাজ ও পরিবেশ সুন্দর থাকবে।

উল্লেখ্য মঠবাড়িয়া পৌরসভাধীন বহেরাতলা বেইলী ব্রিজ থেকে পাথরঘাটা বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত ১৬‘শ ৬০ মিটার রাস্তা সওজ এর আওতাধীন। চলতি বছরে চরখালী-পাথরঘাটা সড়কের প্রসস্থকরণ ও কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হয়। শহরের প্রাণকেন্দ্রের এ সড়কে সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির আশংঙ্কা থাকায় স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশক্রমে কার্পেটিংয়ের নকশা পরিবর্তন করে আরসিসি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা ইতোমধ্যে অনুমোদন হয়েছে এবং চলতি বছরের শেষ নাগাদ কাজ সমাপ্ত হবে। পৌর মেয়র সংবাদ সম্মেলনে নাজুক সড়ক দিয়ে চলাচলে জনসাধারণের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন।