• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

সমালোচকদের মুখে ছাই দিলেন শেখ হাসিনা

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২০  

 


আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, বিচক্ষণতা এবং প্রজ্ঞায় যে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন তা আরেকবার প্রমাণ করলেন। মুজিববর্ষের আগে বিভিন্ন নিন্দুক এবং সমালোচকরা নানা রকম কথা বলছিলেন। এমনকি কিছু কিছু জ্ঞানপাপী রাজনীতিবিদ আকারে ইঙ্গিতে এটাও বলছিলেন যে, বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাস রয়েছে। মুজিববর্ষের কারণে তা গোপন করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মাহমুদুর রহমান মান্নার কথা বলা যায়। মাহমুদুর রহমান মান্না জাসদ (রব) এর এক অনুষ্ঠানে স্পষ্টতই বলে দিয়েছেন, ১৭ মার্চ চলে যাক দেখবেন যে বাংলাদেশে কত করোনা ভাইরাস আছে। বাংলাদেশের সমস্যা হলো গুজব সহজেই পল্লবিত হয়। গুজব কানকথা মানুষ চর্চা করতে পছন্দ করে। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ প্রতিপক্ষ জামাত- বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের কিছু কিছু নেতা যাদের দেশপ্রেম এবং দেশের মানুষের কল্যান সম্পর্কে বিন্দুমাত্র দায়িত্ববোধ নেই তারা বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস আছে। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস লুকিয়ে রাখা হচ্ছে এবং মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান করার জন্য করোনা ভাইরাস গোপন রাখা হয়েছে। ইত্যাদি নানা রকম কল্পকাহিনী গুজব প্রচার করেছেন। যেটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবসময় একটি নেতিবাচক দিক। যখন গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিপক্ষরা পারে না তখন গুজব- প্রপাগান্ডা এবং মিথ্যাচারের আশ্রয় গ্রহণ করে। বিএনপি এই কাজটি ১৯৭৫ এর পর থেকেই করে আসছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এইসব গুজব, মিথ্যাচার মোকাবেলা করেই টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছেন। এবার করোনাভাইরাস নিয়ে গুজব এবং মিথ্যাচার ছড়ানো হচ্ছিল, সেটার মুখে ছাই দিলেন শেখ হাসিনা। কারণ মাহামুদুর রহমান মান্না, আ স ম আব্দুর রব, ড. জাফরুল্লাহসহ যেসকল উদ্বাস্তু রাজনীতিবিদ যারা বৈশ্বিক বাস্তবতা বোঝেন না তারাই এসব গুজব ছড়িয়েছিলেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুশাসন অনুযায়ী, কোন দেশে করোনাভাইরাস রোগী পাওয়া গেলে সাথে সাথে তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অবহিত করা বাধ্যতামূলক।
যখনই করোনাভাইরাস রোগী পাওয়া গেছে, সেদিন সকাল বেলাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে তাঁরা বিষয়টি অবহিত করেন এবং তাঁদের করনীয় নিয়ে জিজ্ঞাসা করেন। প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন যে, জনস্বাস্থ্যের জন্য যেটা প্রয়োজন সেটাই করতে হবে। তিনি তখন মুজিববর্ষ বা আনুষ্ঠানিকতা ইত্যাদির কোন কিছুই চিন্তা করেননি। এরপরেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে করোনাভাইরাস রোগী শনাক্তের বিষয়টি ঘোষণা করা হয় এবং তাঁর কিছুক্ষণ পরেই প্রধানমন্ত্রী মুজিব শতবর্ষ উদযাপন জাতীয় চেয়ারিং কমিটির সভা করে মুজিবর্ষের প্রোগ্রাম পুনর্বিন্যাস করেন।
 শেখ হাসিনার এই রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সততার কাছে আবার পরাজিত হলো বিরোধী পক্ষ। শেখ হাসিনা জানেন যে, মুজিববর্ষ তখনই সফল হবে যখন এদেশের মানুষ সুখে থাকবে, ভালো থাকবে। এদেশের জনগণকে বিপদে ফেলে তিনি মুজিববর্ষ ঘটা করে উদযাপন করতে চান না। কারণ শেখ হাসিনাই সবথেকে ভাল জানেন যে, জাতির পিতা তাঁর সারাটা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য, বাঙালি জাতি যেন একটু সুখে থাকে সেইজন্য। আর মুজিববর্ষে করোনার উপস্থিতির পর শেখ হাসিনা যে মূল সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচী কাটছাঁট করে জাতির পিতার প্রতি সম্মান জানালেন এবং জাতির পিতার আকাঙ্ক্ষার পথেই যে বাংলাদেশ হাঁটছে সেটা আরেকবার প্রমাণ করলেন। এর মাধ্যমে তিনি তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে একটি জিনিস স্পষ্ট করে দিলেন যে, রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় তাঁরা শেখ হাসিনার তুলনায় অনেক শিশু।
সূত্র: বাংলাইনসাইডার