সাগর-বনের অপরূপ দৃশ্য
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯
বরগুনায় বঙ্গোপসাগরতীরের কয়েকটি প্রাকৃতিক দর্শনীয় স্থান পর্যটনের নতুন দুয়ার খুলে দিতে পারে। এর মধ্যে তালতলীর টেংরাগিরি বনাঞ্চল ও ইকোপার্ক, শুভসন্ধ্যা সৈকত, পাথরঘাটার হরিণঘাটা ইকোপার্ক ও সৃজিত বন উল্লেখযোগ্য। তবে সুযোগ-সুবিধা ও প্রচারের অভাবে প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্যময় পর্যটনকেন্দ্রগুলো বিকশিত হচ্ছে না।
বর্ষাকাল শেষ। এখন এসব বনভূমি শরতে শ্যামল-সবুজ। এখানকার সৌন্দর্য যে কাউকে বিমোহিত করে। পাশাপাশি এখানে রয়েছে বিশাল বালিয়াড়ি, যেখানে সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ যেমন মিলবে, অভয়াশ্রমে দেখা মিলবে হরিণসহ নানা বন্য প্রাণী ও পাখির। রয়েছে বনের ভেতরে অসংখ্য সরু খালে নৌকার ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ। এখানে প্রকৃতির শ্যামল-ছায়ার কোমল পরশ যেমন মিলবে, তেমনি দেখা যাবে পৃথিবীখ্যাত মায়াবী চিত্রল হরিণের দুরন্তপনা, রাখাইন নৃগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবনচিত্র, চরাঞ্চলের মানুষের জীবনযুদ্ধ।
টেংরাগিরি বনাঞ্চল
এই বন থেকে শোনা যায় সাগরের গর্জন। সাগর থেকে উঠে আসা বাতাসে ছন্দময় অনুরণন তোলে বনের পত্রগুচ্ছ। বরগুনার তালতলী উপজেলার ফকিরহাটে অবস্থিত টেংরাগিরি একসময় সুন্দরবনের অংশ ছিল। প্রাকৃতিক এই বনকে স্থানীয় লোকজন ‘ফাতরা বন’ হিসেবে চেনে। সুন্দরবনের পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্বাসমূলীয় টেংরাগিরি বনাঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি পায় ১৯৬৭ সালে। সুন্দরবনের পর এটা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্বাসমূলীয় বনাঞ্চল।
তালতলী থেকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পর্যন্ত বিস্তৃত এই বনের আয়তন ১৩ হাজার ৬৪৪ একর। ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর ৪ হাজার ৪৮ দশমিক ৫৮ হেক্টর জমি নিয়ে গঠিত হয় টেংরাগিরি বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য। এই বনাঞ্চলের তিন দিকে বঙ্গোপসাগর, বান্দ্রা খাল, সিলভারতলীর খাল, ফেচুয়ার খাল, গৌয়মতলার খাল, কেন্দুয়ার খাল, সুদিরের খাল, বগীরদোন খাল। বনাঞ্চলের সখিনা বিটে ২০১১ সালে ইকোপার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়। টেংরাগিরি বনাঞ্চলের অভয়ারণ্যে ১০টি হরিণ, ২৫টি শূকর, ৩টি চিতা বাঘ, ২৫টি অজগর, ২টি কুমির, শতাধিক বানর, ২টি শজারুসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্য প্রাণী রয়েছে। তালতলীর ২৩টি পল্লিতে বসবাস করছে রাখাইন সম্প্রদায়। তাদের বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবন, প্রাচীন উপাসনালয়, বুদ্ধমূর্তিগুলো পর্যটকদের ভিন্ন মাত্রার আনন্দ দেয়। বনের ভেতরে ছোট ছোট অসংখ্য খাল রয়েছে। ইচ্ছে হলে নৌকায় করে ঘুরে আসতে পারেন পুরো বনের ভেতর।
হরিণঘাটা বনাঞ্চল
মায়াবী হরিণের দলবেঁধে ছুটে চলা, চঞ্চল বানর আর বুনো শূকরের অবাধ বিচরণ, পাখির কলরবে সারাক্ষণ মুখর থাকে হরিণঘাটা বনাঞ্চল। পাথরঘাটার বঙ্গোপসাগরের মোহনায় পায়রা-বিষখালী-বলেশ্বর—এই তিন নদ-নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত হরিণঘাটা। সৃজিত এই বনে হরিণ, বানর, শূকর, কাঠবিড়ালি, মেছো বাঘ, ডোরা বাঘ, শজারু, উদ, শৃগালসহ অসংখ্য বুনো প্রাণীর বিচরণ। দৃষ্টিনন্দন ঘন বন আর সবুজে ছাওয়া হরিণঘাটা বনের সৌন্দর্যকে আরও আকর্ষণীয় করেছে পাশাপাশি সুবিশাল তিনটি সৈকত—লালদিয়া, পদ্মা, লাঠিমারা।
পাথরঘাটায় হরিণঘাটা বনে কাঠের সেতু। এটি ব্যবহার করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেন পর্যটকেরা। সাম্প্রতিক ছবি। চর লাঠিমারা থেকে শুরু করে মুতাইন্যা পর্যন্ত ৫ হাজার ৬০০ একর আয়তন নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই বনাঞ্চল। ‘লালদিয়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ইকো ট্যুরিজম সুযোগ বৃদ্ধি প্রকল্পের’ আওতায় ৯৫০ মিটার ফুটট্রেল (পায়ে হাঁটার কাঠের সেতু) স্থাপন করা হয়েছে। রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার বেঞ্চ, ঘাটলা ও ইটের রাস্তা। মিঠাপানির জন্য খনন করা হয়েছে পুকুর। বনের ভেতরে অসংখ্য খাল রয়েছে। এসব খালের ভেতরে ঘুরে দেখতে ভাড়ায় নৌকা পাওয়া যায়।
টুলুর চর
বরগুনা শহর থেকে ছয় কিলোমিটার পশ্চিমে বরইতলা ফেরিঘাটের মাঝামাঝি বিষখালী নদীতে টুলুর চর আরেক সৌন্দর্যের হাতছানি। বিষখালী
নদীর মাছে সৃজিত এই শ্বাসমূলীয় বন এখন ঘন, গাঢ় সবুজে আচ্ছাদিত। নদীর বুকে জেগে ওঠা এই চরে হরেক পাখির কিচিরমিচির শব্দ আর রোদ-জলের তরঙ্গ। প্রয়াত সাংসদ গোলাম সবুর টুলুর নামে এই চরের নামকরণ করা হয়েছে। বন বিভাগের বরগুনার রেঞ্জ কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান জানান, বন বিভাগের সৃজিত এই বনে হরিণসহ নানা প্রজাতির বন্য প্রাণী রয়েছে।
শুভসন্ধ্যা সৈকত
সাগরের বিস্তীর্ণ জলরাশি। দীর্ঘ সৈকত। হাওয়ায় দোল খায় সবুজ ঝাউ বন। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের শুভসন্ধ্যা সমুদ্রসৈকত। এখনো খুব একটা পরিচিত নয় তালতলীর টেংরাগিরি বনের ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠা এই পর্যটনকেন্দ্র। এ কারণে এখানে মানুষের আনাগোনা কম। তবে বঙ্গোপসাগরের বিস্তীর্ণ বেলাভূমির সঙ্গে বনভূমির নৈসর্গিক শোভা দেখতে এখন দূর-দূরান্ত থেকেও মানুষ ছুটে যাচ্ছেন নতুন এই সৈকতে।
পর্যটনশিল্প বিকাশের উদ্যোগ
দক্ষিণের সম্ভাবনাময় পর্যটনশিল্পের বিকাশের জন্য পটুয়াখালী ও বরগুনা দুই জেলা ঘিরে বিশেষ পর্যটন এলাকা গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। একটি প্রকল্পের আওতায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া, গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী এবং বরগুনা সদর, আমতলী, তালতলী ও পাথরঘাটা উপজেলাকে ঘিরে বিশেষ এই পর্যটনশিল্প গড়ে তোলা হবে। ‘পায়রা বন্দরনগরী ও কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ-পর্যটনভিত্তিক সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন’ নামের প্রকল্পটি ২০১৭ সালে পরিকল্পনা কমিশন এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে।
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনেকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রচারণা করছেন প্রার্থীরা
- মঠবাড়িয়ায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত
- ঈদের রেসিপি কবুতরের রোস্ট
- মঠবাড়িয়ায় সূর্যমুখি চাষে কৃষকদের ব্যপক সাফল্য
- হোয়াটসঅ্যাপে বিভ্রাটের অভিযোগ ব্যবহারকারীদের
- জিয়াউর রহমানের আমলে নারীদের পতিতাবৃত্তি করতে হয়েছে: কাদের
- লাইলাতুল কদরে কী দোয়া পড়বেন?
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সতর্কতা ইউজিসির
- খুলে দেওয়া হলো ৮ ওভারপাস দুই সেতু
- ফিটনেসবিহীন ৪৮৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- দুনিয়াবি বিপদ-আপদের প্রতিদান
- মঠবাড়িয়ায় বসত ঘরে আটকে যুবককে উলঙ্গ করে নির্যাতন- আটক ২
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- ওমরাহ পালনের শেষ সময় ১৫ জিলকদ
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের নতুন তালিকা প্রকাশ করলো ফোর্বস
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?